কৃষকের দুর্দিনে ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ
এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এই চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধানকাটায় শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় শ্রমিক সঙ্কটে থাকা এলাকাগুলোতে ধান কেটে কৃষককে সহায়তা করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে খাদ্য সংকটে থাকা অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা তুলে দিচ্ছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে তারই ন্যায় কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান কাটা শুরু হয়। এতে দেশের এই সংকটময় মূহূর্তে বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ছাত্রলীগ যেমন খুশি, তেমনি ধান কেটে দেয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরাও।
তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৪শ থেকে ৫শ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক পাওয়া যেত। করোনা পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আমাদের এই সংকটময় মূহূর্তে বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে তা মাড়াই করে দিচ্ছে। আমি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম।
কুমিল্লা-২ (তিতাস-হোমনা) আসনের সংসদ সেলিমা আহমাদ মেরী বলেন, বাংলাদেশের সকল সংকটেই ছাত্রলীগ এগিয়ে এসেছে। আর এ দেশের ইতিহাস সে কথাই বলে। দেশের এই করোনা মহামারিরতে স্থানীয় কৃষকদের সহযোগিতায় উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসছে, যা আমাদের আশার আলো দেখায়।
এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ ফকির বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশক্রমে এবং তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকারের অনুপ্রেরণায় আমরা কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নির্দেশ দিয়েছে কৃষকদের পাশে থাকতে। ছাত্রলীগ যেকোনও মানবিক সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। স্থানীয়দের মাধ্যমে শ্রমিক সংকটের খবর পেয়ে সেখানে কাঁচি নিয়ে হাজির হই।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেকোন দুর্যোগ, ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষ ছাত্রলীগকে পাশে পেয়েছে। এবারও করোনা মোকাবিলায় জনগণ ও বোরো মৌসুমে কৃষকদের পাশে থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ ৬০ শতাংশ (২কানি) জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’