কুমিল্লায় অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলছাত্রী উদ্ধার, আটক ৪
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার মিতল্লা থেকে অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলছাত্রীকে চট্টগ্রামের আন্দারমানিক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ওই সময় অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকালে আটকদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, লালমাই উপজেলার গৈয়ারভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী মঙ্গলবার সকালে স্কুলে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে যাওয়ার সময় মিতল্লা নামক স্থান থেকে একটি মাইক্রোযোগে তাকে অপহরণ করা হয়।
এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বেলঘর দক্ষিণ ইউপির রফিকুল ইসলাম মেম্বার ও তার ছেলে হেলাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে লালমাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
লালমাই থানার সেকেন্ড অফিসার জীবন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার আওতাধীন আন্দারমানিক গ্রামের আবদুল হান্নানের বসত ঘর থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
ওই সময় পুলিশ লালমাই উপজেলার মিতল্লা গ্রামের রফিকুল ইসলাম মেম্বারের ছেলে হেলাল উদ্দিন, গৈয়ারভাঙ্গা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে মো. নাইম, তার স্ত্রী জান্নাত বেগম ও উত্তড্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
স্কুলছাত্রীর বাবা পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়ে অনেক মেধাবী। সে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে এ প্লাস পেয়েছিল। অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই লালমাই থানা পুলিশ মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবন রায় চৌধুরী বলেন, অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারে প্রযুক্তির পাশাপাশি দাঁতামারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও আন্দারমানিক গ্রামের আবদুল হান্নান সহযোগিতা করেছেন। বুধবার সকালে আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপহৃত স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানাধীন আন্দারমানিক গ্রাম থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।