নাঙ্গলকোটে ২ বছর ধরে সেতু ভেঙ্গে পড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট-মেরকোট-লুদুয়া সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি প্রায় ২ বছর থেকে ভেঙ্গে পড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। সেতুটির ভাঙ্গা অংশে স্টীলের পাত বসিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল এবং পথচারীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এখান দিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বাজারে মালামাল পরিবহনসহ এলাকাবাসীর বাড়িঘর নির্মাণে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া কুমিল্লা-নোয়াখালী আ লিক মহাসড়ক থেকে সড়কটির প্রবেশমুখে সেতুর সামনে পানি জমে থাকায় ছোট যানবাহন চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি দিয়ে এলাকাবাসী নাঙ্গলকোট উপজেলাসদর, ভোলাইন বাজার, বেলঘর, উরুক চাউল, গোসাই বাজার এবং মেরকোট বাজারে যাতায়াত করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী সেতুটির ভাঙ্গা অংশে ইট ও বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী রাখেন। এছাড়া এলাকাবাসী চাঁদা তুলে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস (এল জি ই ডি) থেকে স্টীলের পাত এনে সেতুটি সাময়িক যাতায়াতের উপযোগী করেন। কিন্তু গত দুই বছরে সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় সেতুটি ভাঙ্গা অংশে স্টীলের পাতের মধ্যে দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে এলাকাবাসীকে ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে সেতুটি পার হতে হয়।
দিনের বেলা সেতুটির একপাশ দিয়ে কোনভাবে পার হতে পারলেও রাতের বেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এতে গাড়ি নষ্টসহ যাত্রী এবং পথচারীরা আহত হচ্ছেন।
মেরকোট গ্রামের আবদুল খালেক বলেন, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনসহ এলাকাবাসী নতুন ভবন নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রী বাড়িতে নিতে পারছেন না
আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রাজু বাসান দেবনাথ বলেন, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ছোট যানবাহনসহ এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যে কোন মূহুর্তে সেতুটি ধ্বসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান।
লুদুয়া বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস, মালবাহি ট্রাক, ট্রাকটর এবং পিকআপভ্যান সেতুটির ভাঙ্গা অংশের গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন বলেন, বৃহত্তর কুমিল্লা প্রকল্প পেইজ-৪ (জি সি পি) এ সেতুটি অন্তর্ভুক্তসহ ১৫টি সেতু এবং সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্পের (আমপান) আওতায় ৭টি সেতুসহ মোট ২২টি সেতু নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
এছাড়া সেতুগুলো অন্য একটি প্রকল্পেও প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে প্রকল্প শুরু হলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।