কুমিল্লা-৭ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হচ্ছেন ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য (এমপি) হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ন্যাপের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লুৎফর রেজা খোকন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে এই উপনির্বাচনে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হচ্ছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র নিয়ে জমা দেন চারজন প্রার্থী। ১৪ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী ছালেহ ছিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত দুজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। যার ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন। আমরা আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠাব। পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ন্যাপের প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে বলা হচ্ছে। তাই ন্যাপের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছি।
এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের না জানিয়ে কুমিল্লা-৭ আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক লুৎফর রেজা খোকনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ২ সেপ্টেম্বর এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হলেও একক প্রার্থী থাকায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।