লালমাইয়ে সরকারি হাসপাতালের বেহাল দশা

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা ২০ শষ্যা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিনাচিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হাসপাতালের ফটক খোলা থাকলেও সেখানে চিকিৎসা সেবা দানকারী কেউ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এ উপজেলার ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। বিশাল এই জনগণের জন্য ২০ শষ্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি খুবই অপ্রতুল। তার ওপর এখানে রয়েছে নানা অনিয়মের নানাহ অভিযোগ।

বাগমারা হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখানে দায়িত্বরত স্ব্যাস্থ্য কর্মকর্তা, আবাসিক অফিসার থেকে শুরু করে আয়া-দারোয়ানও নেই হাসপাতালে।

একই অবস্থা লালমাই উপজেলা ভূলইন দক্ষিণ ইউনিয়ন ভূশ্চি বাজার উপস্ব্যাস্থ্য কেন্দ্রে (স্ব্যাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র)। দুপুর ১২টা দেখা যায় ফটকে তালা মারা। দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সরোয়ার জাহান মাসুদ জানান, নিদিষ্ট সময়ের আগেই উপ-স্ব্যাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বের হয়েছেন তিনি।

সরকারি হাসপাতালে কাজ ফাঁকি দিয়ে তিনি বাগমারা বাজারে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখছেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সরোয়ার জাহান মাসুদ নিয়মিত মা ও শিশু রোগে বিশেষজ্ঞসহ নানা চটকদার বিশেষণ লাগিয়ে হাসপাতালেন বাইরে রোগী দেখেন।

বাগমারা ইউনিয়নের দত্তপুর থেকে আসা মোমেনা বেগম নামে নারী তার স্বজনকে নিয়ে বাগমারা হাসপাতালে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে চিবিৎসা না পেয়ে রাগারাগি ও চেঁচামেচি করে রোগীকে নিয়ে পাশের উপজেলায় লাকসাম স্ব্যাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

সাইফুল ইসলাম নামে এক রোগী বলেন, সকাল ১০ থেকে আমি সহ ৬/৭ জন রোগী অপেক্ষা করে আছি কিন্তু হাসপাতালে কাউকে দেখছি না। প্রায় প্রতিদিনই চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষের কাছ থেকে এ অভিযোগ শোনা যায়।

প্রতিনিয়ত হাসপাতালের এমন অনিয়ম হলেও কোনো তদারকি নেই।হাসপাতাল মূল ফটকের পাশে এক দোকানদার বলেন, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলা থাকলেও এ হাসপাতালে মঙ্গলবার কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

এ বিষয়ে বাগমারা ২০ শষ্যা হাসপাতালের আবাসিক অফিসার (আরএমও) ডা. সজিবকে ফোন করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

লালমাই উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দীন শাহ বলেন, আমি হাসপাতালে ছিলাম।রেকর্ডকৃত ভিডিও এবং প্রমাণাদি উপস্থাপন করলে কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আকতারকে এ বিষয় জানার জন্য বারবার ফোন ও এসএমএস করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন