কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটছে জারুল-কৃষ্ণচূড়া, শুভ্রতা ছড়াবে সোনালু
ঋতুরাজ বসন্ত শেষে প্রকৃতিতে সময় এখন গ্রীষ্ম। প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে ভিন্ন সাজে। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাজে বাহারি সাজে। এবারের গ্রীষ্মটাও যেন সেরকমই। শিক্ষার্থীরা যখন ছুটিতে, প্রকৃতি সাজতে শুরু করে দিয়েছে নতুন সাজে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ক্যাম্পাসে ফুটছে জারুল আর কৃষ্ণচূড়া। তবে নতুনত্ব এসেছে সোনাঝড়া ফুল সোনালুর সোনালি রঙে। সেজেছে আপন ঢঙে, আপন রঙে। ভীড় জমেছে ভ্রমর, মৌমাছিদের। ২০১৯ সালে রোপণের পর এবারই সোনালু গাছে ফুল এসেছে অভ্যন্তরীণ সড়কের পাশের গাছগুলোতে।
এপ্রিলের প্রথম থেকে ২৫ দিনের ছুটিতে রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পাসেও ফিরছে কেউ কেউ। তাদের যেন প্রাণ খুলে স্বাগত জানাচ্ছে ফুলগুলো। সময় বাড়ার সাথে সাথে ফুলের পরিমাণ বাড়বে কুবি ক্যাম্পাসে।
তপ্ত গরম শেষে প্রকৃতিতে একপশলা বৃষ্টি যখন প্রকৃতিকে শান্ত করেছে, তখন লাল-বেগুণী আর সোনালি রঙের আভায় সাঁজতে শুরু করেছে ক্যাম্পাস। ফুলগুলো দিচ্ছে তাঁর স্বচ্ছতার জানান। যেন বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস ফেরত শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে এক অঘোষিত উৎসব।
জানা যায়, ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির উদ্যোগে ১০০টি কৃষ্ণচূড়া, ৫০টি জারুল ও ৫০টি সোনালু গাছ রোপণ করা হয়। রোপণের পরের বছর থেকেই ফুল আসতে শুরু করে কৃষ্ণচূড়া ও জারুলে। তবে আক্ষেপ ছিল সোনালু। সঠিক পরিচর্যার অভাবে গাছগুলো ঠিক যেন নিজেদের মেলে ধরতে পারছিলো না। শিক্ষার্থীদের চমকে দিতেই যেন সোনালুর নীরব আয়োজন।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে রাস্তার পাশ ধরে গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিবারই কৃষ্ণচূড়া আর জারুলে ফুল আসে, প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলে। তবে সঠিক পরিচর্যা ও পানির অভাবে বৃদ্ধি পায়নি সোনালু গাছগুলো। এখানকার মাটি বৃক্ষের জন্য উপযুক্ত হলেও পানির অভাবে শুধু গাছগুলোতে ফুল আসছে। না হয় ক্যাম্পাসে সোনালুর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেত।