আমি সেভেন পাশ, তাদের নেত্রীর চেয়ে এক ক্লাশ কম: হিরো আলম

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ আশরাফুল হোসেন। যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। বিনোদনের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় থাকেন এই ইউটিউবার। সর্বশেষ ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন একটি কেন্দ্রে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

যার ফলে পরাজিত হয়েও তিনি কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন তিনি। তার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানান বিদেশি কূটনীনিকরা। সরকারের সমালোচনায় মেতে উঠে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই সমালোচনা করতে গিয়েই বেঁধেছে আরেক বিপত্তি। হামলার ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ তাকে হেয় করে মন্তব্য করেছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হিরো আলম।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করতে দেখা গেছে হিরো আলমকে। সংবাদ সম্মেলনের আদলে করা ওই ভিডিওতে এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, “আমি কারও বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। কিন্তু বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, বিএনপির বড় একজন নেতা রুহুল কবির রিজভী স্যার আমাকে পাগল বলেছেন। তিনি বলেছেন, হিরো আলাম অর্ধপাগল এবং অশিক্ষিত।”

এদিকে রুহুল কবির রিজভীরেএমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হিরো আলম। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রসঙ্গ টেনে হিরো আলম বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাস স্যার প্রায়ই বলেন, ‘হিরো আলমের মতো লোকও নির্বাচন করে, তাকেও আওয়ামী লীগ পিটাইছে।’ তার এই কথার মানে হলো হিরো চুনোপুঁটি, তাকে নিয়ে তুচ্ছ করে করে কথা বলা যায়।”

ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, “এমনকি অনেক আওয়ামী লীগ নেতা, জাতীয় পার্টির নেতা, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী হিরো আলমকে নিয়ে হেয় করে কথা বলে। নোংরামি করে, অপমান করে কথা বলছে।” কেন আপনারা আমাকে অপমান করে কথা বলবেন, এই বলার অধিকার তো আপনাদের নেই। ভালো না লগলে আমার থেকে দশ হাত দূরে চলে যান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিএনপি নেতারা মন্তব্য করেছেন, এমন প্রসঙ্গ টেনে হিরো আলম বলেন, “আমাকে বলা হয় অশিক্ষিত। সংবিধান স্বশিক্ষিত লেখার অধিকার দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন নমিনেশন পেপারে স্বশিক্ষিত লেখার সুযোগ আছে।”

হিরো আলম বলেন, “আমাকে অশিক্ষিত বলে আপনার নিজেদেরও অশিক্ষিত বলে গালি দিচ্ছেন। কারণ, আপনার যে নেত্রীর দল করেন, আমাদের সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদ জিয়া, তিনি কিন্তু এইট পাশ ছিলেন। এখন আপনারা লেখা পড়া শিখতে শিখতে পাশ হয়ে গেছেন, ঠিক না? তিনি এইট পাশ ছিলেন, আমি সেভেন পাশ। এক ক্লাশ নিচে।”

এ সময় নিজের টেবিলে রাখা বেশকিছু বই দেখিয়ে তিনি বলেন, “হিরো আলম এখন প্রচুর বই পড়ে, শিক্ষিত হওয়ার জন্য।” তাকে নিয়ে হেয় করে কথা না বলার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ভিডিওতে আহ্বান জানান হিরো আলম ।

তিনি বলেন, “আপনার এখন লাশের খেলায় মেতে উঠেছেন। আওয়ামী লীগ চাইবে হিরো আলমকে মেরে ফেলে দাও, বিএনপি চাইবে হিরো আলমকে মেরে ফেলে দাও, তৃতীয় পক্ষ চাইবে হিরো আলমকে মেরে ফেলে দাও। কারণ, হিরো আলমকে মেরে ফেলে দিলে আপনারা আবার আরেকটা গেম খেলতে পারবেন। নাহলে আমাকে মাদক কিংবা নারী কেলেংকারীতে ফাঁসিয়ে দেবেন।”

তিনি বলেন, ‘সবার কাছে অনুরোধ আমাকে নিয়ে কোনো রাজনৈতিক খেলা খেলবেন না। কারণ হিরো আলম কোনো রাজনৈতিব দলের সঙ্গে জড়িত না। হিরো আলম নিজেই রাজনীতিবিদ। হিরো আলম নিজেই একটা দল। আমি জনগণের কথা বলতে চাই।”

আরো পড়ুন