দক্ষিণ কোরিয়ায় কুমিল্লার বিজ্ঞানীর সাফল্য
ডেস্ক রিপোর্টঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশি কৃষি ও জৈব প্রযুক্তিবিদ নারায়ণ চন্দ্র পাল সেরা বিজ্ঞানীর পুরস্কার পেয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি বিষয়ক সরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর অধীনে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্রপ সায়েন্স’-এর বায়োএনার্জি ক্রপ রিসার্স ডিভিশনে এ পুরস্কার পান নারায়ণ চন্দ্র পাল।
নারায়ণ চন্দ্র পাল গবেষণা করছেন মিষ্টি আলুর ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ে। কৃষি গবেষণায় সবচেয়ে বড় এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে কৃষি গবেষণায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘সেরা বিজ্ঞানী’ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এ বছর অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করা (পোস্ট ডক্টোরাল) গবেষকদের মধ্যে বাংলাদেশি নারায়ণ চন্দ্র পাল সেরা বিজ্ঞানীর পুরস্কারে ভূষিত হন।
সারাবিশ্বে ভাইরাসজনিত রোগ মিষ্টি আলু উৎপাদনে সবচেয়ে বড় বাধা। চারা উৎপাদনের বিভিন্ন জেনারেশনে ভাইরাস রোগ কমিয়ে আনা ও মলিক্যুলার পদ্ধতিতে রোগ সনাক্তকরণে তিনি গবেষণা করছেন। এছাড়া ২০১৭ সালে তিনি মিষ্টি আলুর তিনটি ছত্রাকজনিত রোগ সনাক্ত করেছেন ও তাদের জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বের করেছেন।
এ বছর নারায়ণ চন্দ্র মিষ্টি আলুতে রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ছত্রাকের বিভিন্ন জিনের প্রায় দুইশ’টি আংশিক সিকোয়েন্স করেছেন, যার মধ্যে ৬৯টি জিন সিকোয়েন্স জিন ব্যাংকে (এনসিবিআই ডাটাবেজে) জমা করেছেন। এগুলো বিজ্ঞানীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
নারায়ণ চন্দ্র পাল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সূর্য্য কুমার পাল ও কানন বালা পালের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। মতিঝিল মডেল হাই স্কুল, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার চুঙনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আসেন এমএস ও পিএইচডি করতে। ২০১২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর দক্ষিণ কোরিয়াতেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করছেন।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈবিক দমন প্রক্রিয়ায় ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ‘নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ পরিবেশ’ নিশ্চিত করার জন্য গবেষণা করছেন তিনি। ভবিষ্যতেও এই নিয়ে আরও গবেষণা করতে চান ও কৃষি উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান বলে জানান নারায়ণ চন্দ্র।
সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর