কুমিল্লার তিন উপজেলা পরিষদে দুটিতে নতুন মুখ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও হোমনা তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ উপজেলায় নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছে, এক উপজেলায় পুরোনোতেই ভরসা রাখলেন জনগণ।
বুধবার (৫ জুন) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বরুড়া’র দেওয়া বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১১২ ভোট।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তালা প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪০ হাজার ৭১৯ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাহরিনা আক্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোসা: কুলসুম আক্তার হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৮৭ ভোট।
অন্যদিকে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে, মোঃ রহমত উল্লাহ বাবুল উপজেলা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম গোলাম ফারুক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৭ ভোট।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ ইসহাক খান বই প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৮১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ এস এম শাহিন মজুমদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টিয়া পাখি প্রত্যেক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৩৯ ভোট।
এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে, হাজেরা আক্তার ববি সিনিয়র প্রেসিডেন্ট উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের কলস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন এক লক্ষ ২৩ হাজার ৬৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রহিমা আক্তার সহ-সভাপতি উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৭ ভোট।
হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেহানা বেগম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ হাজার ২৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একেএম সিদ্দিকুর রহমান আবুল মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৩০ ভোট।
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে কুমিল্লার ৩ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণের শুরুতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেন প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে। তবে, ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চার উপজেলাতেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।