আজহারীর মাহফিলের একদিন আগেই কম্বল, চাদর নিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ
এবার লালমনিরহাটের সোহরাওয়ার্দী মাঠে যাচ্ছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। আজ শনিবার তার এ মাহফিলকে ঘিরে গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই মাহফিলের মূল মাঠে কম্বল, চাদর নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লি ও তার ভক্তরা।
প্রধান আয়োজক ও মাহফিলের সভাপতি আব্দুল হাকিম দাবি করছেন, মাহফিলে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।
গতকাল শুক্রবার রাতে মাহফিলের মূল মাঠে কম্বল, চাদর নিয়ে দূরের লোকজন অবস্থান নিয়েছেন। তারা রাতে মাঠে রাতযাপন করে শনিবার আজহারীর ওয়াজ শুনে বাড়ি ফিরে যাবেন।
ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট নামের সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক আনসার, পুলিশ ও সেই সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকের কর্মী বাহিনীর টহল রয়েছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট পৌঁছার পর শনিবার জোহরের নামাজ শেষে বয়ান শুরু করবেন আজহারী। সন্ধ্যার আগেই ওয়াজ শেষ করে চলে যাবেন তিনি।
এদিকে আয়োজকরা জনসমাগম বিবেচনা করে দর্শকদের জন্য চারটি মাঠ প্রস্তুত করছে। জেলার সবচেয়ে বড় সোহরাওয়ার্দী মাঠে করা হচ্ছে মূল মঞ্চ। এ ছাড়াও কালেক্টরেট, সিপি স্কুল মাঠ ও নারীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জেলা স্টেডিয়াম মাঠ। এছাড়া এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে অন্য মাঠগুলোতেও আজহারীর ওয়াজ সরাসরি প্রচার করা হবে।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম। এর পাশাপাশি জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
মাহফিলের সভাপতি আব্দুল হাকিম বলেন, ‘মাহফিল সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মাঠগুলোতে। পুরো শহরে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বক্তা ও অতিথিদের বক্তব্য শুনতে পারবেন মানুষ।’
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে আনসার, পুলিশ র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে প্রায় পাঁচ হাজার।’