কুমিল্লা পুলিশে শুদ্ধি অভিযান, ১১ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
ডেস্ক রিপোর্টঃ মাদক বিক্রি, আটক করে চাদাঁ দাবির অভিযোগে গত চার দিনে তিন এসআই, ২ এএসআইসহ ১১ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেছেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসাইন।
কুমিল্লার কোতয়ালী থানার মালখানা থেকে মাদক বিক্রির অভিযোগে কোতয়ালী মডেল থানার দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে। এছাড়া সালাহ উদ্দিন নামে থানার এক পরিচ্ছন্নকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার মালখানা থেকে সালাহ উদ্দিন নামের এক পরিচ্ছন্নকর্মী সম্প্রতি মাদকদ্রব্য সরিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি একটি সংবাদ মাধ্যমে ‘থানায় মাদকের হাট’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল কোতয়ালী মডেল থানায় যান এবং মালখানার মালামালের রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানার মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব ও থানার অপারেশন অফিসার এসআই তপন বকশীকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড (সংযুক্ত) এবং পরিচ্ছন্নকর্মী সালাহ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাতে নগরীর গর্জনখোলা এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসক দিদার হোসেনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে আটক করে থানায় বা ডিবি কার্যালয়ে না নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তার পরিবারের কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে খোঁজ করে পালপাড়া এলাকা থেকে ওই পল্লী চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় আনেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষনিকভাবে কোতয়ালী থানার এএসআই মনির হোসেন ও এএসআই দুলালকে তাদের কর্মস্থল থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে আব্দুল কাদের নামের এক এসআইসহ দাউদকান্দির ৭ জন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। ওই ঘটনায় কুমিল্লার অতিঃ পুলিশ সুপার (উত্তর) শাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান ধরে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জানা যায়, ইয়াবার একটি বড় চালান আটক করে এর একটি অংশ লুকিয়ে রেখে কম সংখ্যক ইয়াবা দিয়ে ২ আসামিকে মামলা দেয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এই ৭ জনকে ক্লোজড করেন জেলা পুলিশ সুপার এবং তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কুমিল্লার অতিঃ পুলিশ সুপার (উত্তর) শাখাওয়াত হোসেন দাউদকান্দির ৭ পুলিশ সদস্য ক্লোজড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।