পয়াত জলাশয়ের পানি নিঃস্কাশনের লক্ষে দ্রুত বে-দখলকৃত খালগুলি পুনঃ খনন করা হবে -অতিঃ জেলা প্রশাসক
বুড়িচং প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পয়াত জলাশয়ের পানি নিঃস্কাশনের লক্ষে ভরাট হওয়া ও বে-দখলকৃত খালগুলি দ্রুত পুনঃখনন করা হবে।মঙ্গলবার জলাশয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি নিঃস্কাশনের খালগুলি পরিদর্শন শেষে এ কথাগুলি বলেন কুমিল্লা অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আসাদুজ্জামান।
জানা যায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ২ টি ইউনিয়ন, বুড়িচং উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের বেশ কেয়েকটি গ্রাম ঘেষা এতদ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ জলাশয় পয়াত। বর্তমানে এ জলাশয়ের অতিরিক্ত পানি জমে থাকার কারনে কৃষকরা ফসল করতে পারছেনা। জলাশয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি নিঃস্কাশনের খাল গুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি ভরাট ও কিছু কিছু স্থানে বে-দখল হয়ে আছে। ফলে সারা বছরই প্রায় জলাশয়ের নিচু জমিগুলি পানিতে ডুবে থাকে। এতে করে কৃষকরা ক্ষতির সম্মূক্ষিন হয়ে আসছে। সম্প্রতি সময়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর পয়াত জলাশয়ের পানি নিঃস্কাশনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেন।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসাদুজ্জামান পানি নিঃস্কাশনের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শনে আসেন। সকালে উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নরে ঘুংঘুর নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট সদর ইউনিয়নের হরিপুর, যদুপুর, বুড়িচং সদর ইউনিয়নের আরাগ রোডে তিতি খাল ও খালের বিভিন্ন সংযোগ খালগুলি পরিদর্শন করে পরে উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের আগানগর খাড়াতাইয়া এলাকা পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই খালগুলির পাশে অবৈর্ধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ খালগুলিতে পুনঃখনন করা হবে। এই খালগুলি খনন করা হলে পয়াত জলাশয়ে আর অতিরিক্ত পানি জমাট হতে পারবে না। এতে করে কৃষক জলাশয়ের জমিগুলিতে ফসল উৎপাদন করতে পারবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী, বাকশীমূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল করিম, ষোলনল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সদর ইউপি সচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও ইউনিয়ন তহসিলদারগন উপস্থিত ছিলেন।