কুমিল্লায় সকালে ৩৩ কেজি, একই জালে সন্ধ্যায় উঠল ১০ কেজির বাঘাইড়
গোমতী নদীতে জেলের জালে ৪৩ কেজি ওজনের দুটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। প্রথমটি ধরা পড়েছে সকালে ৩৩ কেজি ৩শ গ্রাম ওজনের। পরে একই জেলের জালে একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ১০ কেজি ওজনের আরও একটি বাঘাইড় মাছ একই স্থানে জালে ধরা পড়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বাজার এলাকায় গোমতী নদীতে।
রোববার সকাল সাড়ে ৫টায় গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫৫) ও তার ছোট ভাই জালাল উদ্দীন (৫০) এবং একই গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে মো. ফজলুল হক (৫০) গোমতী নদীতে কারেন্ট জাল ফেলে।
স্থানীয় ইউপি স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মনির হোসেন জানান, সকালে ৩ জেলে গোবিন্দপুর বাজার এলাকা দিয়ে গোমতী নদীতে কারেন্ট জাল বা ফাঁসি জাল ফেলে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় একটি বড় আকারের বাঘাইড় মাছ জালে আটকা পড়ে। জেলেরা মাছটি উদ্ধার করে উপজেলার কংশনগর বাজারে নিয়ে ৪১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
কংশনগর বাজারের পরিবহণ শ্রমিক নেতা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গোবিন্দপুর থেকে ৩ জেলে ওই মাছটি নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় আসেন। মাছ ওজন করে দেখা গেছে ৩৩ কেজি ৩শ গ্রাম ওজন হয়েছে। মাছটির প্রতি কেজি ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে। মাছটি বিক্রি করে হয় ৪১ হাজার টাকার উপরে।
তিনি আরও জানান, বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে বাঘাইড় মাছটি কিনে ভাগ করে নিয়ে যান।
এদিকে গোবিন্দপুর গ্রামের মনির হোসেন আরও জানান, ওই ৩ জেলে মাছটি বিক্রি করে বাজার থেকে ফিরে এসে রোববার বিকালে গোমতী নদীর একই স্থানে আবার জাল ফেলেন। বিকাল ৫টায় ১০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে। এবার জেলেরা ওই ১০ কেজি ওজনের মাছটি অনেকে কিনতে চাইলেও তারা বিক্রি না করে নিজেদের মধ্যে কেটে ভাগ করে নেন।
গোবিন্দপুর বাজারের ডা. আলেক মিয়া জানান, এখন চলছে শীতকাল। এ মৌসুমে নদীর পানি একেবারে কমে যায়। কোথাও নদীতে চর পড়ে যায়। তাই বড় ছোট মাছ এ সময় বেশি ধরা পড়ে।