দেবীদ্বারে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে প্রতিযোগিতা!
এবিএম আতিকুর রহমান বাশারঃ দেবীদ্বারে কুড়িয়ে পাওয়া একটি ছেলে শিশুকে দত্তক নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে ভিড় করছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শিশুটিকে দত্তক নিতে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও নার্স সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে প্রতিযোগিতার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষণ ভবনের পাশে বকুল তলায় একদিন বয়সী একটি ছেলে শিশুকে কুড়িয়ে পায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত নার্স সৈয়দা নার্গিস আক্তার।
খবর পেয়ে সকাল ১০টায় শিশুটিকে দেখতে স্থানীয় নার্স নার্গিস আক্তারের বাসায় ছুঁটে যান দেবীদ্বার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সরকার আবদুল্লা আল মামুন, এসআই প্রেমধন মজুমদার, এসআই রবিউল আউয়াল সহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। ওই সময় শিশুটির অভিবাবককে খুঁেজ না পাওয়া বা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত শিশুটিকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া নার্সের উপর।
এদিকে ওই শিশুটিকে দত্তক নিতে কুড়িয়ে পাওয়া নার্স নার্গিস আক্তার, স্থানীয় সাংবাদিক এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তারা শিশুটিকে পেতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করছেন বলেও জানা যায়।
এব্যপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের জানান, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে শিশুটির বৈধ অভিভাবকের জন্য যদি না আসে তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে চট্রগ্রাম শিশু পরিবারে পাঠানো হবে। তা না হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি স্বাপেক্ষে দত্তক পেতে আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে শিশুটিকে দেখভালে উপযুক্ত তত্তক খুঁজে দেয়া হবে।
তবে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা জানান, শিশুটিকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া নার্সের উপর। তবে শিশুর পরিচয় ও অভিভাবককে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের সন্ধ্যান না পাওয়া গেলে শিশুটিকে কোথায় রাখা হবে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।