দেবিদ্বারে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চান অধ্যক্ষ হুমায়ুন মাহমুদ
ডেস্ক রিপোর্টঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার নির্বাচনী এলাকায় আ’লীগ থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশি কুমিল্লা উত্তর জেলার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ এম. হুমায়ুন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মোহাম্মদপুর নিজ গ্রামের বাড়িতে তিনি ওই সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদানকালে অধ্যক্ষ এম, হুমায়ুন মাহমুদ বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরতœ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল পরিচালনায় দেশ আজ ডিজিটাল মডেল হিসেবে বিশ্ববাসীর নিকট সমাদৃত এবং অনুকরণীয়। সুশাসনে স্থিতিশীলতা, কৃষি, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বিদ্যুতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। যার ফলে শান্তি, গনতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় দেবীদ্বার অনেক পিছিয়ে আছে।
তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ থেকে নৌকা প্রতীকের কান্ডারী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দিলে দেবীদ্বারকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, অত্যাচার-অনাচার, ঘূষ-দূর্নীতি মুক্ত এবং আধূনিক বাসযোগ্য শান্তির নীড় হিসেবে গড়েতোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেবিদ্বার আ’লীগের হাল ধরতে এলাকায় পাঠান। তারই নির্দেশে ১৯৯৬ সাল থেকে দল গুছাতে জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের হামলা-মামলা-নির্যাতন ভোগ করেই দলকে সুসংগঠিত করেছি। ৫ হাজার ভোট থেকে লক্ষাধিক ভোট বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। আমি এ দীর্ঘ সময়ে শেখ হাসিনার একজন দফেদার হিসেবে দায়িত্বপালন করে এসেছি। নেত্রী এবং দলের উর্ধতন নেতাদের নির্দেশে এখনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে আছি। ১৯৯৬ সালে দল আমার সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়েও আমার মনোনয়নটি চেয়ে নিয়ে এ,এফ,এম ফখরুল ইসলাম মূন্সীকে দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে পারেননি। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে আ’লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে এ আসনটি উপহার দিতে পারব।
অধ্যক্ষ এম. হুমায়ুন মাহমুদ তার বর্নাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়ে বলেন ছাত্র জীবনে ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এজিএস পদে নির্বাচন, ১৯৭৫সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগ’র নেতৃত দান, ১৯৭৫ সালে কুমিল্লা ছোটরা নিজবাসায় আ’লীগ’র দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা, ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে ছাত্রলীগ’র মিছিলে নেতৃত্ব দান, ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত, ১৯৭৯-৮০ইং সালে ডাকসুতে কাদের-চুন্নু পরিষদের সদস্য প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত, একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’র সিনেটে ডাকসু কর্তৃক মনোনীত সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত, ১৯৮১সালে হোটেল ইডেনে আয়োজিত এক সভায় শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকেই আ’লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রবল দাবী উত্থাপন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে ওবায়দুল কাদের সহ ১১জনের একটি গোপন বৈঠকে অংশগ্রহন, ১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা কর্তৃক ধানমন্ডীর ৩২নম্বর বাসায় ডেকে নিয়ে দেবীদ্বার আ’লীগ’র হাল ধরার দায়িত্ব অর্পন, ১৯৯২ সালে আ’লীগ’র হাই কমান্ড’র নির্দেশে কুমিল্লা (উঃ) জেলার সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত, ২০১৬ সালের সম্মেলনে আ’লীগ (উঃ) জেলার সহ-সভাপতি নিবাচিত, ২০০১ সাল থেকে বিএনপি-জামায়ত জোট সরকারের সময় আমার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় কঠোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬সাল পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা মামলার ৮টির মধ্যে ৭টিতে প্রধান ও ১টিতে ২য় আসামী করা এবং এলাকার শিক্ষার প্রসারে ১৯৯৪ সালে নিজ এলাকায় পিতার নামে সেরাজুল হক কলেজ’ প্রতিষ্ঠা সহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত আছি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ আলী সরকার, লুৎফর রহমান বাবুল, মুজিবুর রহমান, কামরুজ্জামান মাসুদ, কবির ইকবাল খান ছোটন, অধ্যাপক আমির হোসেন, ওবায়দুল হক রাসেল, খোরশেদ আলম, নাছিমা আক্তার, আবু হানিফ সরকার, ইউনুছ ভূঞা, হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির প্রমূখ।