কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন না মেয়র সাক্কু !
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সেনানিবাস) আসনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেই মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও তাঁর অনুসারীরা। গত মঙ্গলবার রাতে দলটির প্রার্থী মোহাম্মদ আমিন উর রশিদ বাড়িতে গেলেও মনিরুল দেখা করেননি।
আমিন উর রশিদ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। মনিরুল হক একই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কমিটি গঠনসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমিন উর রশিদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নামছেন না বলে জানিয়েছেন মনিরুল।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আমিন উর রশিদ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, প্রচার সম্পাদক মোস্তফা জামান ও শহর বিএনপির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুলের বাসায় যান। বাসার নিচতলার দারোয়ান মেয়রকে জানান, আমিন উর রশিদসহ চারজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। মেয়র বলেন, ‘বলে দাও, আমি বাসায় নেই।’ পরে মেয়রের মুঠোফোন নম্বরে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। মিনিট দশেক অপেক্ষা করে ওই চার নেতা ফিরে যান।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী আমিন উর রশিদ বলেন, ‘আমি গিয়েছিলাম দেখা করতে, তিনি (মেয়র) সাক্ষাৎ দেননি।’
এ বিষয়ে মেয়র মনিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইয়াছিন সাব (আমিন উর রশিদ) কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আমার বাসায় এসেছিলেন। আমি তাঁর লগে দেখা করিনি। জেলা এবং মহানগর যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির শীর্ষপদগুলো একতরফাভাবে নিয়ে গেছেন তিনি। আমার কোনো নেতা-কর্মীকে কমিটিতে পদ দেননি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিও হয় না ৯ বছর ধরে। গত ৬ আগস্ট দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি উল্টাপাল্টা কথা বলেন। তার ওপর ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাঁর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয় ব্যবহার ছাড়া তিনি আমার জন্য কোনো কাজ করেননি। আমি তাঁর জন্য মাঠে নামব না। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছি, আমি লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বরুড়া উপজেলায় দলের প্রার্থীর পক্ষে নামব। লাকসামের প্রার্থী আনোয়ার উল আজিম আমার চাচাতো ভাই। তাঁর জন্য নামব। ওনার (আমিন উর রশিদ) লগে নাইম্যা লাভ হবে না। উনি নির্বাচন চালাবেন ওয়াসিম (জেলা যুবদলের সভাপতি) ও কায়সারকে (মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি) দিয়ে। আমার কর্মীরা মাঠে কাজ করতে পারবেন না। তাই দেখা করিনি।’
সূত্রঃ প্রথম আলো