মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে জেহাদে নামতে হবে-এড.টুটুল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেছেন, আমাদের সমাজের সবছেয়ে বড় সমস্যা এখন মাদক। মাদকের সহজলভ্যতার কারণে সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকরা শংকিত। বাহিরে খেলাধুলা করেতে গিয়ে আড্ডা দিতে গিয়ে মাদকসেবীদের খপ্পরে পড়ে সন্তান নষ্ট হয়ে যায় কিনা -এ আশংকায় অনেকে তাদের সন্তানদের বাহিরে গিয়ে খেলাধুলা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন। নতুন প্রজন্মকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে শুধু আইন-শৃংখলা বাহিনী নয়,সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে তুলতে হবে। বিশেষ করে সর্বশ্রেনির জনপ্রতিনিধিদের মাদকের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশই নয়,কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা সকলে মিলে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে জেহাদে ঘোষনা করতে হবে। তাইলে মাদক নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সমন্বয়ে আয়োজিত যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান এড. টুটুল এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,আমাদের অভিভাবক হাজী বাহার এমপির কঠোর নির্দেশনা ও দূরদর্শীতার কারণে কুমিল্লায় নির্বাচন পরবর্তী কোন সহিংসতা হয় নি। উল্টো তিনি প্রতিপক্ষ পরাজিত বিএনপির প্রার্থীর বাড়িতে গিয়েছেন মিষ্টি নিয়ে।যা শুধু কুমিল্লায় নয়,সারা দেশের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশরাফুল করীম এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম বকুল, কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ছালাম মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যারম্যান আলহাজ্ব মো.সেকান্দর আলী,আবুল কালাম আজাদ, মামুনুর রশিদ মামুন, ইকবাল হোসেন বাহালুল, সিটি কাউন্সিলর মাসুমুর রহমান মাসুদ, জাকির হোসেন, কাউছারা বেগম সূমি, উন্মে কুলসুম মুনমুন প্রমুখ। এসময় পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী প্রতিনিধি, ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সহ আমড়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রটারী জাহাংগীর আলম সহ ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশরাফুল করীম বলেন,কুমিল্লার ক্ষমতাসীন রাজনীতিক দলের উদারনীতি ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নজরদারীর কারণে কুমিল্লা সদরে নির্বাচন পরবর্তী কোন সহিংসতা হয় নি। বিশেষ করে সদরের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পাশাপাশি উদার রাজনীতিরও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসবে গড়ে তুলেছেন।