মুরাদনগরে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় নিহত হাবিবের পরিবার
মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় হাবিবুর রহমান (৩০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে হাবিব আত্মহত্যা করেছে বলা হচ্ছে। ঘটনার পর স্ত্রী পারুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকারি পলাতক রয়েছেন এবং হাবিবের পরিবাররা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন এই পরিবার।
সম্প্রতি উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার প্রেক্ষিতে এলাকায় তোলপাড় চলছে। পারুল আক্তার সাহেবনগর গ্রামের দিনমজুর হাবীবুর রহমানের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের ওই জননী ছিলেন।
রবিবার দুপুরে উপজেলা সদরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন মৃতু হাবিবুর রহমানের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে হাবিবরে স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, পাশের বাড়ীর প্রবাসি ওয়াজেদ মিয়ার স্ত্রী রাদিফা অক্তারের স্বাথে আমার স্বামী হাবিবের সম্পর্ক ঘরে উঠে। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারুন আর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম, বাহাউদ্দিন, মতিউর রহমানসহ স্থানীয় কিছু লোক হাবিবের কাছ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা চাদাঁ আদায় করে এবং রাদিফার সাথে সম্পর্ক রাখলে হাবিবকে হত্যার হুমকি প্রধান করে। সেই ভয়ে হাবিব বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে। পরে গত বছরের ১৪ নভেম্বর হাবিব রাতে গ্রামের বাড়ি আসলে অভিযোক্তরা তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। সেই রাতে আর বাড়ি ফিরেনি হাবিব। পর দিন সকালে তার মৃত্যু দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় অভিযোক্ত জাহাঙ্গীরের বাড়ির পুকুর পার পাওয়া যায়। সে সময় পুরুষ ও মহিলার পায়ের দুই জুড়া জুতা সেখানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আমি পারুল আক্তার স্বামী হাবিব হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা করলে আমাকে ও হাবিবের পরিবারদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে অভিযোক্তরা। এখন আমি পলাতক রয়েছি। আমি আমার স্বামী হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলার অগ্রগতি হয়নি। ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। বাদী পক্ষকে কেউ হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকলে তাদের থানায় আসতে বলেন। আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।