ব্রাহ্মণপাড়ার সাহেবাবাদে অগ্নিকান্ডে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে যৌথ ১০টি পরিবারের ৪টি টিনের ঘরে আগুন লাগলে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে নগদ ১ লক্ষ টাকাসহ মোট ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি দাবী করছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের পশ্চিম দক্ষিণ পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়িতে রবিউল মিয়ার ঘরে বুধবার দুপুর ২টায় গ্যাসের চুলায় রান্না করার সময় হঠাৎ চুলায় আগুন ধরে গেলে মুহুর্তের মধ্যে আগুন ঘরের চালে ও পাশের ঘরে ছড়িয়ে পরে। দিনের বেলা হওয়াতে আশেপাশের লোকজন আপ্রান চেষ্টা করে এবং বুড়িচং থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দের ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
এসময় পল্লীবিদ্যুতের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় বিধায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনে টিভি, ফ্রীজ, ফ্যান, চেয়ার, টেবিল, আলমারী, খাট, লেপ, তোষকসহ মূল্যবান জিনিষপত্র পুড়ে যায়। এনজিও থেকে ১লক্ষ টাকা ঋণ তুলে ঘরে রেখেছিল ইদ্রিস মিয়ার ছেলে রবিউল। সে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে সে দাবী করছে। ১০টি পরিবারের মোট ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের দাবী। ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের সদস্যরা হল- সাহেবাবাদ গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়া, মোঃ শরীফ, রবিউল ইসলাম, হেলেনা বেগম, জানু বেগম, মফিজ মিয়া, শরীফ মিয়া, শানু মিয়া, পুতুল বেগম এবং শামীম মিয়া।
খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া ছিদ্দিকা, থানার ওসি এসএএম শাহজাহান কবির, সাহেবাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক মোস্তফা সারোয়ার খান ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক উপস্থিত হন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের খোজ-খবর নেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক ১০ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল পেয়াজ, আলু, লবন এবং কম্বল বিতরণ করেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকেও ক্ষতিগ্রস্থদের কম্বল বিতরণ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সারোয়ার তাৎক্ষণিক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, ওসি, পল্লীবিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিস জরুরী ভিত্তিতে ভ’মিকা রেখে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াবার জন্য সকলকে অভিনন্দন জানান।