নাঙ্গলকোটে জমি নিয়ে বিরোধ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত-১০
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত ২ টার সময় উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউপির লক্ষীপদুয়া গ্রামের মিয়াজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ভর্তি করে।
আহতরা হলেন- মজিবুল হক, তার স্ত্রী জাহেদা বেগম,ও তার মেয়ে খালেদা আক্তার, পেয়ারা বেগম, রুমা বেগম, স্বর্ণা বেগম। মনোয়ারা বেগম, সুরুজ মিয়া, সবুজ ও সুমন। আহতদের মধ্যে বুধবার সকালে আশংকাজনক অবস্থায় মাজিবুল হক ও পেয়ারা বেগমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত মজিবুল হকের স্ত্রী জাহেদা বেগম জানায়, জমি নিয়ে তাঁর ভাসুর ছেরাজুল হকের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ একই গ্রামের মৃত. আছলাম মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, আলী হোসেন, মৃত. কোরবাত আলীর ছেলে সুরুজ মিয়ার গংদের দ্বন্ধ চলে আসছে। এর জের ধরে পুকুরের পাড়ে দক্ষিণ অংশে সুরুজ মিয়া গংরা জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ করছেন। এ ঘটনায় ছেরাজুল হক বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আসেন।
পরে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমন, সুরুজ মিয়া, মিজান, আলম, বেলাল, শনু, জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনের একদল দূর্বৃত্ত তাদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়ীর টিনের বেড়া ও ঘর ভাংচুর, তাদের মারধর করেন। এ সময় ঘরে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণঅলংকার লুটপাটের অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয় অভিযুক্ত মিজান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। আমরা জায়গা দখল করতে গেলে উল্টা তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মনোয়ারা বেগম সহ ৪ জনকে আহত করে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশ্রাফুল ইসলাম জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে দেয়। পুলিশ চলে আসার পর উভয় পক্ষের মধ্যে দাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা অনেকে আহত হয়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ভর্তি করে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় পক্ষের কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।