চট্টগ্রামকে উড়িয়ে দিয়ে কুমিল্লা আবারো শীর্ষে
ডেস্ক রিপোর্টঃ চিটাগংয়ের ঘরের মাঠ চট্টগ্রাম। আবার কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের দুরত্ব ঢের নয়। প্রত্যেক দলের যেহেতু আলাদা ভেন্যু নেই। তাই কুমিল্লার ঘরের মাঠও চট্টগ্রাম ধরা যায়। তাই জন্য চিটাগং-কুমিল্লা ম্যাচ দেখতে গ্যালারি ছিল টয়টম্বুর। বিপিএলে ঢাকা কিংবা সিলেটে ঠিক এমনটা দেখা যায়নি। বিপিএল অবশ্য অ্যালেক্স হেলস, ডি ভিলিয়ার্স, রুশো, এভিন লুইসরা জমিয়ে দিয়েছেন। দর্শক পূর্ণ গ্যালারির এটাও একটা কারণ।
তবে মঙ্গলবারের প্রথম ম্যাচটি ছিল একঘেয়ে। বৃষ্টি কারণ হতে পারে। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অল্পরানে মুশফিকদের আটকে দেয় ইমরুলের দল। পরে তুলে নেয় ৭ উইকেটের জয়। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে আবার শীর্ষে উঠে গেল কুমিল্লা। তবে সাত জয়ে১৪ পয়েন্ট নিয়েও নিশ্চিত হচ্ছে না কুমিল্লার প্লে অফ। এখনও কমপক্ষে পাঁচটি দলের সাত জয় পাওয়ার সুযোগ আছে।
সোমবারও দিনের প্রথম ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠেছিল কুমিল্লা। পরে রংপুর ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষস্থান কেড়ে নেয়। আজও রংপুরের সামনে সুযোগ আছে কুমিল্লাকে আবার দুইয়ে ঠেলে দেওয়ার। তার আগে অবশ্য শীর্ষে ছিল চিটাগং। কিন্তু ঘরের মাঠে তিন ম্যাচে খেলে তিনটিতেই হার তাদের। পয়েন্ট টেবিলে তাই আবার নিচে নেমে গেছে তারা। চট্টগ্রামে এখনও এক ম্যাচ বাকি ভাইকিংসদের।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ১১৬ রান তোলে ঢাকা এবং সিলেট পর্বে দুর্দান্ত খেলা চিটাগং। দলের হয় শাহজাদ ৩৩ এবং মোসাদ্দেক ৪৩ রান করেন। বৃষ্টির ঝটকা সামলে শুরুর তিন ব্যাটসম্যান প্রথমে ভালো খেলতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে কুমিল্লা।
দলের ২৬ রানে আনামুল ফিরে যাওয়ার পর তামিম এবং শামসুর রহমান মিলে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান দলকে। এরপর ৯১ রানে নিজের নামের পাশে ৩৬ রান যোগ করে ফিরে যান শামসুর। পরেই ফিরে যান কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তবে তামিম দারুণ এক ফিফটি তুলে নিয়ে জয় এনে দেন দলকে। ১৪ বল হাতে থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম ও থিসারা।
কুমিল্লার হয়ে এ ম্যাচে আফ্রিদি ৪ ওভারে ১০ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। এছাড়া ওহাব রিয়াজ এবং সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। চিটাগংয়ের হয়ে আবু জায়েদ দুটি উইকেট নেন। এছাড়া খালেদ আহমেদ এক উইকেট পান।