তিতাসে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী মজিবুরকে ঘিরে উজ্জীবিত তৃণমূল আ.লীগ

মোঃ জুয়েল রানাঃ আসন্ন কুমিল্লা তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আর মাস দেড় বাকি। চতুর্থ ধাপে আগামী ৩১ মার্চ ২০১৯ এ অনুষ্ঠিত হবে এই উপজেলার নির্বাচন।

এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ। তারা গণসংযোগের পাশাপাশি প্রাণপন চেষ্টা করছেন স্থানীয় এমপি সেলিমা আহমাদ মেরীসহ দলের শীর্ষ নেতাদের মন জয় করার।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ২০০৯ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করা উপজেলার সাবেক সফল ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সী মো. মজিবুর রহমানকে ঘিরে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মী। শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীই নয়, দক্ষ সংগঠক ও সমাজ হিতৈশী হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সমাজের সর্বমহলে তার রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। যেখানেই যাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের ব্যাপক সারা পাচ্ছেন তিনি। রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের ধারণা, নির্বাচনে মুন্সী মজিবুর বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারো বিজয়ী হবেন।

মুন্সী মজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন কাড়িকান্দি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবা সমাজ সেবক মো. গিয়াস উদ্দিন মুন্সী ও মাতা রওশন আরা বেগম। তিনি উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। মজিবুর ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন।

তিনি সৎ, আদর্শবান ও শিক্ষানুরাগী বিধায় ২০১৭ সালে উপজেলার ঐতিহ্যেবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম বারের মত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন।

ইতিমধ্যে এই রাজনৈতিক নেতা দলীয় নেতাকর্মী ও সমাজের অসহায় দারিদ্র মানুষের সাহায্য সহযোগীতা করে জনসাধারণের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অবদান রেখেছেন বহু অসহায় হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে।

এ ছাড়াও সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সিআইপি সেলিমা আহমাদ মেরীর বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। নির্বাচনে মেধা, শ্রমসহ খরচ করেন ব্যক্তিগত অর্থ। এ কারণে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য, দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর কাছে দিন দিন আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন মুন্সী মজিবুর রহমান।

মজিবুরকে নিয়ে কথা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল প্রায় হাফ ডজন নেতাকর্মী ও সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে। তাঁরা জানান, মজিবুর মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী একজন সমাজ হিতৈশী মানুষ। ধর্মীয় কাজ ও শিক্ষা বিস্তারে রয়েছে তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ। তাঁর মতো মানুষ আবার জনপ্রতিনিধি হলে দল ও সংসদ সদস্য সেমিলা আহমদ মেরীর হাত শক্তিশালী হবে। ভূমিকা রাখতে পারবে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে।

মুন্সী মজিবুর রহমান আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রথমেই আমি বৃহত্তর দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ করি পরে আমাকে দাউাদকান্দি থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা যুবলীগের সদস্য নির্বাচিত করে। বেশ কিছুদিন দায়িত্ব পালন করার পর বৃহত্তর দাউদকান্দিকে ভাগ করে যখন নতুন তিতাস উপজলা হয় তখনি আমি তিতাসে যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত করি এবং সভাপতি নির্বাচিত হই। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

কখনো দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হয়নি। জড়ায়নি কোনো অনৈতিক কাজে। আর সেই জন্যই জনগনের ভোটে ২০০৯ সালে তিতাস উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে দল ও এলাকার মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করেছি। বিপদ-আপদে সব সময় দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর পাশে ছিলাম।

আর তারই ধারাবাহিকতায় ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সেবার পরিধি বাড়াতে আবারো উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দল ও এলাকার মানুষ আমার কাজের মূল্যায়ন করবেন। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, ভাইস-চেয়ারম্যান হতে পারলে সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরীর পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।

আরো পড়ুন