এক মাসেও সন্ধান মেলেনি লাকসামের মাদ্রাসা ছাত্রী সুমাইয়ার
লাকসাম প্রতিনিধিঃ নিখোঁজের এক মাস হলেও সন্ধান মেলেনী মাদ্রাসা ছাত্রী সুমাইয়া (১২)। সে লাকসাম পৌর শহরের মিশ্রি গ্রামের প্রবাসী হাবীবুর রহমানের ছোট মেয়ে আবেদ নগর মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। সুমাইয়া গত ৫ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনী। নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়নগঞ্জ থেকে সুমন নামের এক ব্যাক্তি মুঠো ফোনে ৫০হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এ ঘটনায় পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করলেও ১মাসেও ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর এখনো সন্ধান দিতে পারেনী।
পরিবার ও জিডি সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের ঘটনায় তিন দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারী সুমাইয়ার পরিবার লাকসাম থানায় একটি সাধারণ ডাইয়েরি করে। পরে ১১ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়। নিখোঁজের প্রায় ১মাস হলেও মাদ্রাসা ছাত্রী সুমাইয়ার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় পরিবার ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন পাগলের মতো ঘুরছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারে ধারে।
নিখোঁজ সুমাইয়ার মা ছালেহা বেগম জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারী কান্দিরপাড় ইউপির আবেদ নগর মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিদিনের মতো ঘর থেকে বের হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় সুমাইয়া ঘরে না ফেরায় বিভিন্ন যায়গায় তার সন্ধান করা হয়। সন্ধান না পেয়ে তিন দিন পর লাকসাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিকেলে আমার ফোনে নারায়নগঞ্জ এলাকা থেকে সুমন নামে পরিচয় দিয়ে আমার মেয়ে তাদের কাছে আছে বলে এই নাম্বার থেকে (০১৭০৫-১২২০৩৭) ৫০হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। পরে টাকা পাঠাবো বলে ওই নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এখন আমি কি করবো? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কোন সন্ধান দিতে পারছে না। দু-চোঁখের পানি ফেলে ছালেহা বেগম বলেন, মেয়ে জীবিত না মৃত. তাও জানিনা।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে জানান, নিখোঁজ ডায়েরী করার পর থেকেই আমরা সুমাইয়াকে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।