নাঙ্গলকোটে দু‘বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট, আহত- ১
মো. ওমর ফারুকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পুলিশ পরিচয়ে দু‘বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত তিনটায় উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের কনকৈইজ গ্রামের ব্যবসায়ী কবির আহমেদ ও প্রবাসী ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
এসময় ২০/২৫ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল কবির আহম্মদের পরিবারের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ও মারধর করে আলমারীর চাবি ছিনিয়ে নিয়ে আলমারীতে রক্ষিত নগদ তিন লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪টি মুঠো ফোন সেট ও পাশ্ববর্তী জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে নগদ দশ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা বলে দু‘টি পরিবার জানান। ডাকাতদলের হামলায় কবির আহম্মদের স্ত্রী রহিমা বেগম আহত হয়। নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটায় ২০/২৫ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল নাঙ্গলকোট-মাহিনী-বাঙ্গড্ডা সড়কের পাশে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের কনকৈইজ গ্রামের ব্যবসায়ী কবির আহম্মদের বাড়িতে প্রথমে প্রবেশ করে। ডাকাতদল পুলিশ পরিচয়ে কবির আহম্মদের বৃদ্ধা মা কমলা খাতুনের টিনশেড ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে জিম্মি করে ঘরের বাহিরে নিয়ে আসেন। পরে ডাকাত দল কমলা খাতুনকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে ভয়ে পাশ্ববর্তী ব্লিডিং ঘরে থাকা পুত্রবধু রহিমা বেগমকে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। রহিমা বেগম ঘরের দরজা খুললে ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে রহিমা বেগম, তার ছেলে রাহানুল ইসলাম বাপ্পী, মেয়ে ফারজানা আক্তার ববি, ননদের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, সুরাইয়া আক্তারকে বেঁধে ফেলেন। পরে রহিমা বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারীর চাবি দিতে বলেন। রহিমা বেগম চাবি না দিলে তাকে মারধর করে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে আলমারীতে রক্ষিত নগদ তিন লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৪ টি মুঠো ফোন সেট লুট করে নিয়ে যায় এবং সবাইকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
পরে ডাকাতদল পাশ্ববর্তী মিয়াজী বাড়ির কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের তালাবদ্ধ বাড়িতে হানা দেয়। জাকির হোসেনের বাড়ির দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ৫টি স্টীলের আলমারী ও একটি সুকেছ ভেঙ্গে ব্যাপক তছনছ করে। এসময় ডাকাতল দল নগদ ১০ হাজার টাকা ও প্রায় এক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। জাকির হোসেনের পরিবার কুমিল্লায় ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করেন। তার বোন জোসনা বেগম বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে এসে অবস্থান করতেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিলে আমরা মামলা নেব। তারা মামলা না দিলেও আমরা তদন্ত করে দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবো।