নাঙ্গলকোটে গ্রাম্য শালিসে সংঘর্ষ; আহত ১০
মো. ওমর ফারুকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধের মীমাংশায় গ্রাম্য শালিসে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পেরিয়া ইউপির মাধবপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬৫)এর জমির উপর এক বছর আগে তার ভাই আবুল হাশেম ঘর নির্মাণ করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে কয়েক দফায় গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু আবুল হাশেম শালিসের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আসছে। শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী পুনরায় বিরোধ মীমাংশায় শালিস বৈঠকে বসে। দীর্ঘক্ষণ উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে সার্ভেয়ার (আমিন) শালিসদারদের সামনে বিরোধপূর্ণ জায়গাটির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে আবুল হাশেমের লোকজন জয়নাল আবেদীনের লোকজনের উপর প্রথমে মরিচের গুড়ো চিটিয়ে আহত করে। এরপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি ঘটায় আহতদের মধ্যে ৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে। নাঙ্গলকোট হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার জানান, আহতদের মাথায়, পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে দেশীয় অস্ত্রের ও লাঠির আঘাতের চিহৃ রয়েছে। আহতরা হলেন,মৃত.আব্দুল মজিদের ছেলে জয়নল আবেদীন,তার স্ত্রী মাছুমা বেগম, তার ছেলে আব্দুল মতিন, সোলাইমান, লিটন, আব্দুল মতিনের ছেলে রুবেল, সোলায়মানের ছেলে মোশাররফ, নাতী,লোকমান,পুত্রবধূ রোকেয়া বেগম, শফিকের ছেলে রাজু, স্ত্রী ঝুমুর বেগম, জামাতা কামরুল।
এবিষয়ে গ্রাম্য শালিসদার সাবেক মেম্বার আবুল খায়ের বলেন, উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে যখন আমিন জায়গার সীমানা নির্ধারণ করবে তখনই আবুল হাশেমের লোকজন মরিচের গুড়ো চিটিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে। এঘটনায় জয়নাল আবেদীন পরিবারের ১০ সদস্য আহত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত আবুল হাশেমের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনটার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে।
এব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, ঘটনাটি শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।