তিতাসে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন উত্তাপ নেই
হালিম সৈকতঃ উপজেলা নির্বাচনের আর বাকি আছে ১০ দিন। যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিবর্তন হচ্ছে দৃশ্যপট। মাঠ দখলের লড়াই চলছেই। ক্রমেই জনগণ উন্মোচিত হচ্ছেন কে কার সমর্থক। প্রার্থীরা ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠী দলে ভিরাতে চাইছেন ক্লিন ইমেজের সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের।
৫ম উপজেলা নির্বাচনে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে ১৩টির। কিন্তু এর মধ্যে ৫টিতে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন হবে ৮টি উপজেলার।
ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে উপজেলা গুলোতে। বিশেষ করে তিতাসে ভোটের হাওয়ায় পাল লেগেছে বেশ জোরেসোরেই। তিতাসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পুরুষ) লড়াই করছেন দুই তরুণ।
তাদের মধ্যে একজন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ ফকির ( টিউবওয়েল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তিনি পারভেজ সরকারের একান্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ভোটের মাঠে তিনিও সমানতালে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্যদের সাথে। তবে তার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা তুলনামূলক কম। তবে অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনিই হবেন মূল ফ্যাক্টর। এবারই তিনি প্রথম নির্বাচন করছেন। তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে রাত দিন কাজ করছেন। চেষ্টা করছেন জনমত তার পক্ষে নিতে। দেখা যাক তিনি কতটা সফল হতে পারেন।
সাইফুল আলম মুরাদ , উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি অনেকটা ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে সর্বত্র সুপরিচিত। তাঁর জয় এখন সময়ের ব্যাপার তার কর্মীদের এমনটাই ধারণা। কারণ তার মূল যে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুন্সী মুজিবুর রহমান তাকে সমর্থন দিয়ে তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। সেই জন্যই মুরাদ ভোটের মাঠে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। শুধু সমর্থন নয় তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে গামে গিয়ে মুরাদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাছাড়া মুন্সী মুজিবুর রহমানের রয়েছে একটা আলাদা ব্যক্তি ইমেজ ও নিজস্ব ভোট ব্যাংক। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথমবারের মতো জয়ী হতে চান মুরাদ।
ইতোমধ্যে তিনি সাধারণ ভোটারদের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। সাইফুল আলম মুরাদ বলেন, ৩১ মার্চ নির্বাচনে জয় ভিন্ন কোন চিন্তা করি না। কারণ সাধারণ জনগণ আমাকে চায়। আমার বিশ^াস আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আনতে পারব। সাইফুল আলম মুরাদের মার্কা তালা।