বুড়িচংয়ে মেহরাব খুনের বিচারের দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ভান্তি গ্রামে দুর্বৃত্তের হাতে নিহত নৌবাহিনী সদস্য মেহরাব হত্যাকারীদের সনাক্ত করে দ্রুত বিচার ও ফাসির দাবীতে পুনরায় মানব বন্ধণ ও প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লার সদরের আলেখারচ ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১ ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। মেহেরাবের সহপাঠী ও পরিবারের সদস্যরা সহ স্থানীয় এলাকার শতশত নারী পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী আলেখারচ মহাসড়ক এলাকার সড়ক ব্যারিকেড গাড়ী চলাচলে বাধা প্রদান করে। এসময় রাস্তার উভয় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ, স্থানীয় নাজিরা বাজার ফাঁড়ি ও বুড়িচং থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের আই সি ইন্সপেক্টর মাহমুদ হাসান রুবেল উপস্থিত বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষে সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাত্যাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আশ্বাস প্রদাণ করেন। এসময় মেহরাবের পরিবারের সাথেও কথা বলে তাদের শান্তনা প্রদাণ করলে অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। পরে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশে প্রশাসনকে এক সপ্তাহের ভেতরে আসামীদের গ্রেপ্তার আলটিমেটাম দেয় নয়তো পুনরায় বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলেও হুশিয়ারী দেয় তারা।

এবিষয়ে মেহরাব হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই পরিমল চন্দ্র জানান, মামলার তদন্ত চলছে তবে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। নিহতের পরিবারের দেয়া সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের নজরদারীতে রাখা হয়েছে। কয়েকজন কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তবে কাউকে আটক করা হয় নি এখনো।

উল্লেখ্য গত ২১শে জানুয়ারি ভোররাতে খুলনা থেকে নৌবাহিনীর ট্রেনিং শেষে চট্টগ্রামে যোগদানের উদ্দেশ্য যাওয়ার আগে কুমিল্লায় মা বাবার সাথে দেখা করতে এসে নিজ গ্রামে দূর্বৃত্তের হাতে খুন হয় মেহরাব। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে জন্য ৩জন কে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্র জানা যায়, খুলনায় ট্রেণিং শেষে চট্টগ্রামে যোগদান করতে যাওয়ার পথে মা-বাবার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় বাস থেকে নেমে গ্রামে যাওয়ার পথে নিজের গ্রামেই গোমতীর তীরে দুবৃর্ত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে মেহেরাব এর নিজ এলাকায় জানাজা ও নৌবাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে মরণোত্তর সালাম ও সম্মান প্রদর্শন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তার লাশ।

দীর্ঘ একমাসেরও বেশী সময় অতিবাহিত হলেও খুনিরা সনাক্ত ও গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিক সমাজ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন