টোলের জন্য থামতে হবে না মেঘনা ও গোমতী সেতুতে!

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী সেতুতে টোল দেওয়ার জন্য থামতে হচ্ছে না কোনো যানবাহনকে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায়ের পদ্ধতি চালু হয়েছে ওই দুই সেতুতে। এতে টোল প্রদানে যানবাহনকে টোলপ্লাজায় থামতে হবে না, প্রয়োজন হবে না নগদ অর্থ প্রদানের। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন হবে সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী।আজ সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম মেঘনা সেতু টোলপ্লাজায় ‘উইন্ডশিল্ড বেইজড ফার্স্ট ট্র্যাক ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন’ বা ‘ইটিসি’ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় একটি করে লেইনে এ পদ্ধতি চালু করা হলো। জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেইন সংখ্যা বাড়ানো হবে।’ এ সময় সড়ক সচিব ইটিসি জনপ্রিয় করতে পরিবহন মালিক, শ্রমিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত মেঘনা ও গোমতী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে সড়ক সচিব জানান।
যেভাবে টোল আদায় হবে
ইটিসি পদ্ধতিতে গাড়ির সামনের আয়নার উপরিভাগে সংযুক্ত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফআইডি ট্যাগের সাথে টোলগেটের এন্টেনার সংকেতের মাধ্যমে টোল আদায় হবে। যানবাহন টোলপ্লাজা পার হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত টোল কাটা হবে ব্যাংক হিসাব থেকে। টোল আদায়ের পর পরই খুদে বার্তার মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে টোল আদায় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে কর্তনের সর্বশেষ তথ্য। এ প্রক্রিয়াটি শেষ হতে সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ড সময়ের প্রয়োজন হবে।
ইটিসি সেবা গ্রহণের জন্য যানবাহনকে এর আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এ কাজে প্রাথমিক পর্যায়ে সহযোগিতা দিচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লি.।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির নেতা হোসেন আহমেদ মজুমদার, টোলপ্লাজা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সিএনএসের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল হাসান সারওয়ার। এ সময় অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও শিশির কুমার রায়, বিআরটিএর চেয়াম্যান মো. মশিয়ার রহমানসহ মহাসড়ক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।