নাঙ্গলকোটে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট

মো: ওমর ফারুকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভায়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাই ও তাদের ছেলেরা কর্তৃক জোরপূর্বক ছোট ভাইয়ের বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গত বৃহষ্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক দফায় আদ্রা দক্ষিণ ইউপির চাটিতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাটিতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে ওমর ফারুক তার পৈত্তিক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে তার বড় ভাই জাহের উল্লা, শফিউল্লা, ভাতিজা মিজান বাধা দেয়।

এসময় ফারুক ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে বড় ভাই জাহের উল্লা, তার স্ত্রী নুরুন নাহার, শফিউল্লা,তার স্ত্রী রেখা আক্তার, ভাতিজা মিজান, তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ভাতিজা জাবেদ, নাছির, এবং ভাড়াটিয়া ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী এনে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ওমর ফারুকের বসতঘর ভাংচুর, স্টীলের শোকেজ ভেঙ্গে নগদ ২০হাজার টাকা লুট, ভাত রান্না করা অবস্থায় ভাতের পাতিল ভাংচুর করে, ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে মারধর করে। ওইদিন রাতে ফারুকের খড়ের স্তুপে অগ্নিসংযোগ করে।

ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, বর্তমানে আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

চাটিতলা গ্রামের অবঃ সেনা সদস্য আবদুল খালেক বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাবের নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাই। ওমর ফারুক তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে তার বড় দু‘ভাই, ভাতিজা এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তার বসতঘর, স্টীলের শোকেজ ভাংচুর ও লুটপাট করে । এবিষয়ে গতকাল শুক্রবার অভিযুক্ত জাহের উল্লার স্ত্রী নুরুন নাহার বলেন, ওমর ফারুক তার সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলেন। কিন্তু সে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে গেলে আমরা বাধা দিই।

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, আমি ঘটনাটি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি। অভিযোগ ফেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন