বুড়িচংয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন পীড়নে বাধা দেয়ায় ভাই কে ছুড়াঘাতে জখম
বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাদক পুর গ্রামের ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী কে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে এলাকার কিছু বখাটে উক্তক্ত্য যৌন পীড়নে বাধা দেওয়ায় ভাই এর সন্ত্রাসী হামলা এবং ছুড়াঘাতে মারাত্ম আহত করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। এঘটনায় রোবরাতে ৮ জনকে নামীয় ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বিবরনে জানা যায় উপজেলার পীর যাত্রাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন শ্যামপুর (বরুইয়ার চর)গ্রামের আব্দুল আলীমের মেয়ে স্হানীয় সাদক পুর ইসলামীয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে আশে পাশের গ্রামের কিছু বখাটে যুবক ওই ছাত্রী কে উক্তক্ত্য এবং যৌন নিপীড়ন করত নিয়মিত ভাবে। ছাত্রীটি তার পিতা মাতা আত্মীয় স্বজনদের নিকট জানায়। ছাত্রীর পিতা আত্মীয় স্বজনরা উক্তক্ত্যকারী বখাটে যুবকদের পিতা মাতা ও গ্রামের সাহেব সর্দার কে জানালে এরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ছাত্রীর পিতা আব্দুল আলীম আরও জানায় একই গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে বখাটে যুবক মোঃ শাওন(১৯) আরও ১০-১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মেয়ের মাদ্রাসা আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন ভাবে যৌন নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিচার দেওয়ায় এরা আমাদেরকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায়। প্রায় রাতে সন্ত্রাসীরা বাড়ীতে অন্যায় অত্যাচার করত।
গত শনিবার রাত ৯টায় ওই ছাত্রী তার ভাইকে খোঁজতে বাড়ির উঠানের পাশে আসলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ১০-১২ সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে। এসময় তার ছোট ভাই মোঃ পারভেজ বাধা দেওয়ায় বখাটে সন্ত্রাসী বাহিনী দুই ভাই বোনকে এলো পাথারী মারধোর করতে থাকে এ সময় তারা ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে জোর পূর্বক ভাবে টেনে হিছড়ে নিতে চাইলে সে বাধা দেয়। তখন তারা ছাত্রীটির ভাই পারভেজ কে শরীরের পিছনে ও সামনে ছুড়াকাঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখম করে। এ সময় দুই ভাই বোনের আত্ম চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।স্হানীয়রা আহতদের কে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত রোববার রাতে ৮ জনকে নামীয় এবং ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা হল একই গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে শাওন,সাদক পুর গ্রামের তাজুল ইসলাম এর ছেলে জুয়েল ও রুবেল,আব্দুল ছালামের ছেলে মোঃ মাসুম, নুরুল ইসলামের ছেলে শেফাউল করিম,রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাগর,আব্দুল মতিনের ছেলে মোঃ আরমান,বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ রাহাদ,আব্দুল আলীমের ছেলে মোঃ রিফাত সহ আরও বেনামী ৩-৪ জন।
এ ব্যপারে বুড়িচং থানার ওসি মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের বিষয় আইন গত ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছেএবং তাদের কে গ্রেফতারের পুলিশি অভিযান চলছে।