কোটবাড়ী-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ
ডেস্ক রিপোর্টঃ বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্কার কাজের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কোটবাড়ী-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক। সড়কজুড়ে খানাখন্দে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এ অঞ্চলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও স্থানীয়দের।
কোটবাড়ী-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের বেহাল বহুদিনের। কয়েক বছর ধরে সংস্কারহীন থাকার পর এক বছর আগে সড়কটির সংস্কারে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। পুরনো কার্পেটিং তুলে বালি ও ইট ফেলা হয়। কিন্তু এর কিছুদিনের মধ্যেই এ সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কার্পেটিংহীন সড়কে যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হয় খানাখন্দ। বর্তমানে বৃষ্টিতে সড়কের অন্তত ৩০টি স্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকছে। গর্তে প্রায়ই যানবাহন উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির পলিটেকনিক, খানবাড়ী ও শালবন এলাকায় বড় বড় গর্তে হাটু সমান পানি জমে আছ। ঠিকভাবে চলাচল করতে পারছে না রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো যানবাহন।
স্থানীয়রা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাডেট কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, ব্লু ওয়াটার পার্ক, ডাইনোসর পার্কসহ প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠানে এ পথে যেতে হয়। চলাচল করে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। সড়কের এ বেহালের কারণে সবার অসুবিধা হচ্ছে। মূলত সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সড়কটিতে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। এখন একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। তখন হেঁটে চলাচলেরও উপায় থাকে না।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নোমান বলেন, ভৌগোলিক কারণে সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোটবাড়ী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার এটিই একমাত্র সড়ক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল থাকায় আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার। জাইকার (জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা) অর্থায়নে এটিসহ আশপাশের আরো বেশ কয়েকটি রাস্তা ও নালা নির্মাণে ৩৮ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার কর্মসূচি চলছে।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, এর আগে আমরা কোটবাড়ী-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের শুধু কার্পেটিংয়ের টেন্ডার করেছিলাম। সম্প্রতি পুরো সংস্কারের টেন্ডার হয়েছে। সড়কের যেসব স্থানে পানি জমে থাকে, সেসব স্থানে আরসিসির কাজ করা হবে। আমরা ঠিকাদারদের দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি। আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।