লাকসামের আহাদ-মিজান হ ত্যা মামলা কার্যক্রম শুরু, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
লাকসাম প্রতিনিধিঃ লাকসামে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত ছাত্রলীগ নেতা শহীদ আবদুল আহাদ ও মিজানুর রহমান হত্যা মামলা দীর্ঘ ১০ বছর পর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আবার শুরু হলো বিচারকার্য। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক মামলার সকল আসামীদের বিরুদ্ধে ১৬ জুলাই ওই হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মামলার প্রধান আসামী বদিউল আলম সুজন সহ ৭ জন আসামীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে হত্যা মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম হিরা তাৎক্ষনিক এ আদেশের বিরুদ্ধে নারাজি দরখাস্ত দাখিল করলে আদালত তা আমলে নিয়ে অব্যাহতি আদেশ বাতিল করেন। এ বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আসামী পক্ষ হাইকোর্টে রীট করে কেনো তাদের ৭ জনকে অব্যাহতি দেয়া হবেনা এ বলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য: ১৯৯৮ সালের ২৮ জুলাই লাকসাম ন.ফ.স কলেজ অডিটরিয়ামে কলেজ ছাত্রলীগের এক সভায় জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আহত হন ছাত্রলীগ নেতা আহাদ ও মিজান। পরদিন ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী এড. রফিকুল ইসলাম হিরা বলেন, মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সার্বিক সহযোগীতায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর দুই ছাত্রলীগ নেতা আহাদ ও মিজান হত্যা মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলো, মুক্তহলো খুনীদের বিচার প্রক্রিয়া। গত বছর ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথা দিয়ে ছিলাম আগামী মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই আহাদ মিজানের হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। ইনশাল্লাহ আমরা সফল হয়েছি। স্থগিতাদেশের প্রক্রিয়াটি পূর্বে আমাকে কেউ অবহিত না করায় তা আমার অগোচরে থেকে যায়। যখন আমি আইনজীবী হিসেবে আদালতে যোগদান করি তখন জানতে পারি মামলার কার্যক্রম এভাবে স্থগিত করে রাখা হয়েছে। সাথে সাথে মাননীয় মন্ত্রী (তখন সংসদ সদস্য) মহোদয়ের সাথে আলাপ করলে তিনি আমাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। সে থেকে দীর্ঘ ৫-৬ বছর হাইকোর্টে সহকারী এটনী জেনারেলের পাশাপাশি আমার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এজিএস এডঃ তৌহিদুর রহমানের আন্তরিক সহযোগীতায় দীর্ঘদিন পর মামলাটি বিচারিক কার্যক্রমের জন্য আলোর মুখ দেখলো। আর এজন্য আমাকে আমার প্রিয়নেতা মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী সহ অনেক নেতাকর্মী উৎসাহ যুগিয়েছেন। আমি আশা করছি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের নির্মমতার শিকার নিহত দুইজন সহ আহত কর্মীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে খুনীদের ফাঁসির কাষ্ঠে তুলতে পারবো। আমি নিজের জীবনের হলেও আহাদ-মিজানের হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্নের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবো। আমি মামলা পরিচালনায় সকলের সহযোগীতা চাই। আমি জানি এ পথ অনেক কঠিন, প্রয়োজনে মৃত্যুকে আলীঙ্গণ করতে আমি প্রস্তুত।