কুমিল্লা ভারেল্লা দ: ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ
মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহ ইসরাইল (রাঃ) ও হযরত শাহ ইসমাইল (রাঃ) স্মৃতি বিজড়িত ভারেল্লা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে চলছে সকল কার্যক্রম। কি সরকারী কি প্রকল্প ভিত্তিক সকল ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের মতামত ছাড়াই সব কার্যক্রম এককভাবে সম্পন্ন করায় এক দিকে যেমন কাঙ্খিত সেবা বা উন্নয়ন পাচ্ছেনা জনসাধারন ,অন্যদিকে বরাদ্দের ব্যবহার নিয়েও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হযরত শাহ ইসরাইল (রাঃ) ও হযরত শাহ ইসমাইল (রাঃ) স্মৃতি বিজড়িত পূণ্য ভূমি এই ভারেল্লা । গোমতী নদী বিধৌত ভারেল্লা এক সময় শুধুমাত্র একটি ইউনিয়ন ছিল। বিগত ২০১৬ সালে এটা ভেঙ্গে উত্তর-দক্ষিণ নামে পৃথক দুটি ইউনিয়ন গঠিত হয়। ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহ কামাল।
গত ২০১৬ সালে নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সরকার গ্রামীণ প্রতিটি জনপদেও উন্নয়নে বিপুল অংকের টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। এডিবি, এলজিএসপি,১%,টিআর, কাবিখা, ভিজিএফ কার্ড , বয়স্ক ও বৃদ্ধ ভাতা , বিধাব ভাতা , আইএসপিপি প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র গর্ভবতী নারী ৫ বছরের নীচে শিশুদের পুষ্টির পরিবর্তে নগদ অর্থ অর্থাৎ সকল প্রকল্পেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল সুত্র মতে ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের শোভারামপুর মুক্তিযোদ্ধা গফুরের বাড়ি হতে রামপুর বজলু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত , রামপুর দক্ষিণ পাড়া ব্যাংক কর্মকর্তা সালেহ হানিফ মিয়ার বাড়ি এবং ছিকুটিয়া সিএনবি হতে মান্নান মাষ্টারের বাড়ি হয়ে জহিরের বাড়ি পর্যন্ত ৪০ দিনের কর্মসুচিতে ৩ টি সড়কে মাটি ফেলার কোন কাজ না করেই উল্লেখিত ৩ টি প্রকল্পের প্রায় ১৪ লাখ টাকার বেশী অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
ভিজিএফ চাল বিতরণেও ছিল অনিয়ম। সরকার কর্তৃক কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সরকারী সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যান পছন্দের কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়েরও অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যান শাহ কামাল ইউনিয়ন পরিষদে কোন মাসিক মিটিং বা প্রকল্প নিয়েও নির্বাচিত হওয়ার পর সদস্যদের নিয়ে কখনোই কোন আলোচনা করে নাই।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ কামাল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি পরিষদের সদস্যদের সাথে নিয়েই সকল কাজ করি।
জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরুল হাসান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।