দাউদকান্দিতে কোরবানির ঈদ ঘিরে জমে উঠেছে দা-ছুরি চাপাতির বাজার
লিটন সরকার বাদলঃ ৫ আগষ্ট ১৯ ইং কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র ৬ দিন। ইতিমধ্যে পশুর হাটের মতো জমে উঠেছে দা-ছুরি,চাপাতির বাজার। কামারপাড়ার উত্তপ্ত লোহা পেটানোর শব্দই জানান দিচ্ছে কোরবানির আগমনী বার্তা।
সারাবছর কামারীরা অলস সময় কাটালেও কোরবানির আগে তাদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। এসময় আয়ও বেড়েছে অনেক। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত এমন ব্যস্ততা থাকবে। দাউদকান্দি উপজেলার কামার দোকানগুলোতে ঘুরে কামারীদের এমন ব্যস্ততা চোখে পড়ে। দাউদকান্দি পৌরসভা বাজার, গৌরীপুর বাজার, সুন্দুলপুর বাজার, রায়পুর বাজার, ইলিয়টগঞ্জ বাজার,হাসনাবাদ বাজার,মলয় বাজার, নৈয়াইর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে দা- বটি,চাপাতি বানানো শাণ দেয়ার কাজ। কামারিরা জানান, কয়েকদিন ধরে নতুন অর্ডার আসতে শুরু করেছে। দোকানগুলোতে নিজেদের উদ্যোগে পুরোদমে কাজ চলছে। নতুন অর্ডার ছাড়াও ক্রেতাদের চাহিদার আলোকে বিভিন্ন পন্য তৈরী করছেন দোকানীরা। দাউদকান্দি উপজেলার কামারপট্রির দিকে যেতেই কানে ভেসে আসে লোহা পেটানোর টুংটাং আওয়াজ।
দোকানের সামনে গিয়ে দেখা গেলো সামনাসামনি বসে সমানতালে পুড়িয়ে লাল করা লোহা পেটাচ্ছেন দুজন কামার। একজন হ্যামার দিয়ে পিটিয়ে পাতলা করছেন অন্যজন হাতুড়ি পণ্যের আকৃতি দিচ্ছেন। প্রতিটি দোকানে হাতে টানা হপার (বাতাস বের হওয়ার যন্ত্র) কামাররা এর নাম দিয়েছেন বুলার। একটি মোটা পাইপের মধ্য দিয়ে বিরামবিহীন ভাবে বাতাস প্রবেশ করছে কয়লার আগুনে। সেখানে লোহার মোটা মোটা পাত পুড়িয়ে লাল করে বানানো হচ্ছে দরকারী যন্ত্র। গরু জবাই করার বড় ছুরির দাম ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা, মাংস কাঁটার ছুরি ২৫০ থেকে ৫০ টাকা,হার কাঁটার চাপাতি ৭০ থেকে ১৫০০ পযর্ন্ত, বটি প্রতিটি ৩০০ থেকে ১৮০০ টাকা, ছোট চাইনিজ কুড়াল ৪৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাকু ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পযর্ন্ত।
আক্ষেপ করে চিতু কর্মকার বলেন, বছরের ১১ মাসই তাদের বসে থাকতে হয়। পশুর ঈদ ছাড়া অন্য সময় কাজের চাপ খুব কম থাকে। যার কারণে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। এবার আশা করছেন ঈদের একসপ্তাহ কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে আগামী দিন গুলো ভালো ভাবে কাটাবেন। কামার রাদেরসাম বলেন,বাপদাদার পেশা পরিবর্তন করেনি দীর্ঘ ১৬-২০ বছর এই পেশায়জড়িত আছেন, সন্তান পরিবার নিয়ে সুখে থাকার জন্যে এই পেশায় সরকারকে দৃষ্টি দেওয়াসহ ব্যাংকগুলোর কাছে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার দাবি জানান।