বিয়ের মেহেদীর রং মুছার আগেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলেন বরুড়ার প্রবাসী নাঈম
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার জালগাও(সর্দার বাড়ী) গ্রামের হাজী মোকশত আলীর একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ নাঈম শুক্রবার(১৬ আগষ্ট) সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
নাঈম ২০১৪ সালে কুমিল্লা বোর্ড থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় পাশ করার পর জীবিকার সন্ধানে চলে যান কাতারে। সেখানে গিয়ে প্রথমে প্রচুর পরিশ্রম করার পর কিছুদিন পর ভাল টাকা উপার্জন করতে শুরু করে। ভাল ভাবেই চলছিল বাবা মায়ের আদরের একমাত্র ছেলে নাঈমের প্রবাস জীবন।
২০১৯ সালে মা বাবার অনুরোধে দেশে ফিরেছেন নাঈম। ততদিনে বাবা মা একমাত্র ছেলের বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করল। নাঈম দেশে আসল শুক্রবার। পরের শুক্রবার নাঈমের বিয়ের কথা পাকা হল।
সামাজিকভাবে বিয়ের দিন ধার্য হল পরের শুক্রবার (২৬ জুলাই) কুমিল্লা সদরের সৈয়দপুর গ্রামের ভুটু মিয়ার বড় কন্যা মানছুরার সাথে। খুব ধুমধাম করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন নাঈম।
পরের শুক্রবার (৯ আগস্ট) ভগ্নী পতির জন্য বাইক কিনতে গেলো কুমিল্লায়। ভগ্নীপতি আলী হোসেনের জন্য বাইক ক্রয় করে বাড়ি ফেরার পথে কুমিল্লায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নাঈম মারাত্বকভাবে আহত হলে প্রথমে কুমেক হাসপাতালে পরে ঢাকা ইবনে সিনা মেডিক্যালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৬ আগষ্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় ইবনে সিনা হাসপাতালের আই সি ইউতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহী…… রাজিউন)।
মৃত্যুকালে বাবা-মা,নবাগত স্ত্রী, ৬ ফুফু, চাচা-চাচী, ৩ বোন, ও অন্যান্য আত্নীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
নাঈমের মৃত্যুতে আত্নীয়-স্বজনসহ সকলের কান্নায় এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নাঈমের বাবা হাজি মোশকত আলী জানান,আমার ছেলের জন্ম হয়েছিল শুক্রবার, বিদেশ গেলো শুক্রবার,দেশে এসেছিল এক শুক্রবার,পরের শুক্রবার বিয়ের পাকা করেছিল,তারপরের শুক্রবার ধূমধাম করে বিয়ে করলো,এর পরের শুক্রবার সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হলো তারপরের শুক্রবার সে মারা গেলো। আল্লাহ যেন এই শুক্রবারের উছিলায় আমার ছেলেকে জান্নাতবাসি করেন।