নাঙ্গলকোটে বাবা ও ছেলের বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩ আটক ১
মো: ওমর ফারুকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউপির গোড়কমুড়া গ্রামে বাবা ও ছেলের জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বুধবার রাতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের তান্ডবে পাঁচটি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আ: মন্নান ও আমান উল্লার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে গ্রামে আতংক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা হামলা চালিয়ে ৫ টি বসতঘর ভাংচুর করে। এতে তিন জন আহত হয়েছে । আহতদের মধ্যে মনির হোসেন ও ফেরদাউস বেগমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে ঘোড়ক মুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিরিন আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়,আ: মন্নান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাকতলা গ্রাম থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে তার সাবেক স্ত্রীর সংসারের ছেলে মনির হোসেনের বসত ঘর ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছে মনির তার স্ত্রী শিরিন ও ফেরদাউস বেগম। এরপর শিরিন জাতীয় পুলিশ সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশের সহযোগীতা চায়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে পাশ্ববর্তী দুলালের (শাহ আলম) বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা ওই খানে গিয়ে হামলা চালিয়ে দুলালের দুটি বসত ঘরও ভাংচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহানারা বেগম জানান, রাতে একদল মুখোস পড়া লোকজন অস্ত্র্র নিয়ে পুরো এলাকায় তান্ডব চালায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো: নজরুল ইসলাম পিপিএম জানায়, আহত মনির হোসেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, তার স্ত্রী ও চিকিৎসাধীন রয়েছে। মনিরের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় আ: মন্নানকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য আ: মন্নানের বাবা মৃত সেরাজুল হক জীবিত থাকা অবস্থায় তার পুত্র বধু দিলরুবা (দেলোয়ারা) বেগমকে দানপত্র করে ১০৬ দাগে ৪৮ শতক জায়গা রেজিঃ করে দেন। ওই জায়গার আরেকটি দলিল সৃষ্টি করে আ: মন্নান। দীর্ঘ দিন বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা আদালতে মামলার শুনানি হয়। গত ২৬ নভেম্বর ২০০২ সালে কুমিল্লা সহকারী জজ মো: সাব্বির ফয়েজ আদালতে রায় প্রদান করেন আ: মন্নানের দলিলটি জাল ছিল। গত ২ অক্টোবর আ: মন্নান জোর পূর্বক ওই জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করে।