কুমিল্লার চান্দিনায় র্যাবের অভিযানে রহমান ফুডের কারখানা সিলগালা!
ডেস্ক রিপোর্টঃ খাঁটি গাঁওয়া ঘি ও সুস্বাদু টমেটো সস তৈরি হলেও পুরো কারখানায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেলেনি দুধ কিংবা টমেটোর অস্তিত্ব!! শুধু কেমিক্যাল রং আর ফ্লেভার দিয়েই তৈরি হয় পুষ্টিকর খাদ্য নামের এসব বিষ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমনই একটি কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব ১১ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
শুধু সস কিংবা ঘি নয় আচারের ড্রামে থাকা কাঁচামালে ফাঙ্গাস পরে রয়েছে বাজারজাত করার আগেই। মরিচ ও হলুদের গুড়ার সাথে মেশানো হচ্ছে মটরডালের বেশন ও রং। বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে বানানো হচ্ছে জ্যাম জেলী। মেয়াদ শেষে হওয়া পণ্য, নতুন করে মেয়াদ দিয়ে মোড়ক জাত করে ফের ছাড়া হচ্ছে বাজারে। নেই কোন ক্যামিষ্ট বা মান নির্ণয়ের কোন ল্যাব। নেই সঠিক কোন অনুমোদন বা বাজারজাত করার সঠিক লাইসেন্স বা ছাড়পত্র। চকচকে প্যাকেটে চটকদার বিজ্ঞাপন আর নানা প্রলোভন দিয়ে ৫০-৬০ টাকা খরচ করে তেল ডালডা আর ফ্লেভার দিয়ে তৈরি ঘি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০টাকায়!!
চান্দিনার রামমোহন সড়কের কোদালিয়া এলাকার এই নকল ও ভেজাল ঘি, সয়াবিন, সেমাই, সস, সরিষার তেল সহ খদ্যপণ্য তৈরির কারখানাটিতে র্যাব-১১ এর একটি দল অভিযান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে চান্দিনা পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড এলাকাস্থ রহমান ফুডস এন্ড কনজুমার প্রডাক্ট নামের কারখানায় র্যাব ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে কারখানা পরিচালক শফিকুর রহমান ও ম্যানেজার সহিদুর রহমান নামের দুজন কে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ২লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় মানহীন পণ্য তৈরি সহ বিভিন্ন অভিযোগে কারখানাটি কে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সীলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়াও কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়াদউত্তীর্ণ এবং মানহীন বিভিন্ন খাদ্য পণ্য ধ্বংস করা হয়। তবে এসময় কারখানা মালিক চান্দিনা পৌর আওয়ামী লীগের কোষাগার বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ও র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিবের নেতৃত্বে বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৪ঘন্টা ব্যাপি এ অভিযান পরিচালিত হয়।