কুমিল্লায় ভারত থেকে পেঁয়াজের ভেতরে করে আসছে ইয়াবা!

ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলার মতো কুমিল্লা সীমান্ত দিয়েও অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ মাদ’ক। প্রতিনিয়ত অভিনব সব কৌশল ব্যবহার করে অব্যাহত রাখা হচ্ছে মাদক চোরাচালান। মাদক চোরাচালান দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারে নতুন কৌশল নিয়েছে কুমিল্লায় মা’দক চোরাচালানকারীরা। ভারত থেকে রাতে আসা গরুর পেটের সঙ্গে বেঁধে আনা হচ্ছে গাঁ’জা। চোরাচালানীদের ভাষায় এটি হলো ‘ক্যাটল কেরিং’ বড় পেঁয়াজের মধ্যের অংশ ফেলে দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে ইয়া’বা। এভাবেই ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে ইয়া’বা।

জুতা-স্যান্ডেলের তলার ভেতরের অংশ কেটে সেখানে ইয়া’বা ঢুকিয়ে ভারত সীমান্ত দিয়ে কুমিল্লা হয়ে দেশে ঢুকছে ইয়া’বা। এছাড়াও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের মৌসুমী ফল তরমুজ, কাঁঠাল, লাউ, কুমড়ার ভেতর ঢুকিয়ে ভারত থেকে আনা হচ্ছে ফেন’সিডিল, ইয়া’বাসহ অন্যান্য মাদ’কদ্রব্য। ছোট-বড় নানা যানবাহনে করেও বিভিন্ন কৌশলে ভারত থেকে মাদ’ক আসছে। যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে মাদক পাচারের ধরন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার হাতে হরহামেশা মা’দকের চালান ধরা পড়লেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মূল হোতারা। আর মা’দকসহ যারা ধরা পড়ছে, তাদের অধিকাংশই বহনকারী। যারা অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে বহন করছে সর্বনাশা এসব মা’দক।

কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা মাদ’কদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- হে’রোইন, গাঁ’জা, ফে’নসিডিল, ই’য়াবা, বি’য়ার, বিভিন্ন ধরনের মদ, রিকোডেক্স সিরাপ, সে’নেগ্রাসহ নানা প্রকার মা’দক ও যৌ’ন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন ধরনের নে’শা জাতীয় ইনজেকশান।

এ বিষয়ে কুমিল্লার মাদ’কদ্রব্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মাঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ইয়া’বা ট্যাবলেট মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হতো। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে সরাসরি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে কুমিল্লায় ঢুকছে।’

কুমিল্লা সীমান্তে মা’দক চোরাচালান রোধে বিজিবির পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করছে উল্লেখ করে মাঞ্জুরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘চোরাকারবারিরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করলেও, আমরাও পাল্টা কৌশল নিচ্ছি। মাদ’কসহ তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। মাদ’কদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের প্রয়াস সার্বক্ষণিক থাকবে।’

সূত্রঃ এনটিভি

আরো পড়ুন