কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্বামীর ঘরে গৃহবধূর লা’শ
বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্বামীর ঘর থেকে জেসমিন আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর লা’শ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় রসুলপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রাম থেকে লা’শটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর নিহ’তের বড় ভাই মো. খাইরুল আমিন দেবিদ্বার থানায় আজ মঙ্গলবার সকালে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, ইউসুফপুর ইউনিয়নের পৈরাংকুল গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার মেয়ে জেসমিনকে তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন রুসুলপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের মো. আবদুল কাদের মিয়ার ছেলে মো. সফিউল্লাহ। ঘটনার পর থেকে সফিউল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা ও নিহত জেসমিনের স্বজনরা জানান, বিয়ের পর সফিউল্লাহকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার বাড়ির লোকজন তিন লাখ টাকা যৌতুক দিতে চাপ দেন জেসমিনকে। সেই টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে জেসমিনকে বিভিন্ন সময়ে গালাগাল ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেন স্বামী সফিউল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন।
নিহত জেসমিনের বড় ভাই খাইরুল আমিন জানান, তার বোনকে স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে মৃ’ত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্বামীর বাড়ির বিভিন্ন বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার পরও তিন মাস সংসার করেছেন তিনি। তাকে শারীরিক ও মানিসকভাবে নির্যা’তন করা হয়েছে, যার কারণে বিয়ের তিন মাসের মাথায় বোনকে লা’শ হতে হলো।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হাসান জানান, ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ফাঁ’স দেওয়া অবস্থায় জেসমিনের লা’শ উদ্ধার করা হয়েছে। লা’শের সুরতহালে নিহ’তের শরীরে কোনো মা’রধরের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এসআই আরও জানান, লা’শ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম’র্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে, এটি হ’ত্যা না আত্মহ’ত্যা।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, নি’হতের বড় ভাই থানায় একটি লিখিত দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী কেউ দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।