কুমিল্লার ঝাগুরঝুলির ‘যমুনা হোটেল’ প্রাতিষ্ঠানিক কোরায়েন্টিন সেন্টার

ঝাগুরঝুলিতে অবস্থিত ‘যমুনা আবাসিক হোটেল’কে প্রাতিষ্ঠানিক কোরায়েন্টিন সেন্টার করা হয়েছে। ধানসিড়ি রেস্টুরেন্টের উপরে অবস্থিত এই হোটেলে ১৮টি কক্ষ রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় করোনা প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, যারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তারা তা না মানলে তাদেরকে এনে এই প্রাতিষ্ঠানিক কোরায়েন্টিন সেন্টারে রাখা হবে।

তিনি জানান, ‘নির্দিষ্ট’ কিংবা ‘বিশেষ’ কোনো দেশ নয়Ñ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যে কোনো দেশ থেকে যে কেউ ফিরলেই তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। তিনি বলেন, ইতালী বা অন্য কোনো বিশেষ রাষ্ট্র বলতে আমদের কোনো কথা নাই; করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে যে-ই আসবে; সে-ই কোয়ারেন্টাইনে যাবে। ইতোমধ্যে কুমিল্লায় যে ৮৭০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছেÑ তাদের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। যারা আক্রান্ত দেশ থেকে এসে অথবা যারা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে এসেছেÑ তাদের বিষয়ে খবর সংগ্রহ করে তারপর কোয়ারেন্টাইনে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় করোনা প্রতিরোধ জেলা কমিটির এক সভা কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ এম জামেরী হাসান, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শওকত ওসমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো: নিয়াতুজ্জামানসহ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, কুমিল্লার সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর আহসানুল কবির, সমাজসেবার উপপরিচালক মিজানুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন