নগরীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক টমছমব্রিজ টু কোটবাড়ি
রায়হান সামীঃ কুমিল্লার সবচেয়ে দূর্ভোগের রাস্তা এখন টমছমব্রিজ টু কোটবাড়ি সড়ক। ড. আখতার হামিদ খানের নামে গড়া এ সড়কটিই এখন পর্যটন এলাকার সাথে কুমিল্লা শহরে ঢুকার প্রধানতম সড়ক। শাসনগাছায় ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের কারণে দীর্ঘদিন ওই সড়ক বন্ধ থাকায় জাগুরঝুলি ও কোটবাড়ি বিশ্বরোডকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত ভারী বর্ষণে সড়কটির বেহাল দশা থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। বলরামপুর থেকে দিদার, দৌলতপুর রেলগেট থেকে গোবিন্দপুর, টমছমব্রিজ কাঁচাবাজার সংলগ্ন সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ।
সামান্য বৃষ্টি হলেই ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয় সড়কের এই তিনটি অংশ। এছাড়া বাকী পথে ক্ষণে ক্ষণেই বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে আছে। শুক্র ও শনিবারের ভারী বর্ষণে সড়কটিতে ফেলা ইটসুড়কি আর মাটি উঠে গেছে। গর্ত বুঝতে না পাড়ায় অটো রিকশা ও মোটর সাইকেল দূর্ঘটনাও ঘটেছে। এসড়কে সিএনজি চালান আবুবকর। তিনি বলেন, গত ১যুগে সড়কটির এতো বেহাল দশা আর দেখিনি। এমন সড়কে যানবাহনে উঠতে চায়না যাত্রীরা। দূর্ঘটনার আশংকাও থাকে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, রাস্তাটির এত্তো খারাপ অবস্থা যে, গাড়িতে চড়লে শরীর ব্যথা করে। একজন আরেকজনের গায়ের উপর পড়ে যায়। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা থাকলেও সড়ক ও জনপথের কুমিল্লা কার্য্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফউদ্দীন বলেন, রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটিতে রেলওয়ের সড়কের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ভারী যানবাহন যাতায়াতের ফলে এমন অবস্থা হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে আমরা সংস্কার করবো। এর আগে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন যাত্রী ও চালকরা। মনির হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, কোটবাড়ি একটি শিক্ষা ও পর্যটন নগরী। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এপথে কষ্ট করে যাতায়াত করে। রাস্তা খারাপের ফলে সিএনজি ভাড়াও বেড়ে গেছে।
জনসাধারনের জন্য কি কারো দরদ আছে? ইঞ্জিনিয়ার এপথে চলেন না বলেই যাত্রীদের কষ্ট অনুভব করতে পারেন না। মূলত, বার্ড, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিবি, সেনাবাহিনী, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ল্যাবরেটরি স্কুল, ক্যাডেট কলেজ, শালবন বিহার তথা কালিরবাজার ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশেনর ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের সাথে কুমিল্লা শহরে ঢুকার একমাত্র প্রধান সড়কটি কবে চলাচলের উপযোগী হবে তা নিয়েই নিয়মিত আলোচনা চলে অত্র এলাকার মানুষের মধ্যে। রাশেদুল ইসলাম নামে কলেজ শিক্ষক বলেন, রাস্তার কাজ হবে ঠিকই কিন্তু টেকশই না হলে, আমাদের দূ:খ স্থায়ী হবে। অতীতেও দেখেছি রাস্তা উল্টে ফেলে সংস্কার করা হয় কিন্তু দুতিন মাস পর যে বর্ষা শুরু হয় তারপর আগের রূপে ফিরে আসে সড়ক। এরপর আবার ইটসুড়কি দিয়ে প্রলেপ চলতে থাকে।