গজারিয়া একতা ক্লাবের গরিব দুংখী অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আজ করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী বিপর্যস্ত করে তুলেছে মানুষকে। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশেও প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই সরকার দেশকে করোনাভাইরাস হতে রক্ষা করতে পুরো দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছে। যার কারণে দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার পরেছে অর্থনৈতিক সংকটে। তাদের পরিবারের অন্ন সংস্থান করা দুস্কর হয়ে পরেছে।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে অন্যান্য সংগঠনের ন্যায় “গজারিয়া একতা ক্লাব” হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নিকট। সাধ্যমত পরিবারকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় “গজারিয়া একতা ক্লাবের” পক্ষ থেকে চান্দলা ইউনিয়ন ১০০ টি পরিবারের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী করা হয়।
এই খাদ্য সামগ্রীর তালিকায় ছিলো ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবন, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ১টি সাবান।
এছাড়াও রাতের অন্ধকারে বিশটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আয়োজকদের পক্ষে “গজারিয়া একতা ক্লাবের” ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরিফ খান আকাশ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে আটকেপড়া শ্রমজীবী-দিনমজুর মানুষের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় উন্নয়ন সংগঠন “গজারিয়া একতা ক্লাবের” স্থানীয়ভাবে একটি খাদ্য-সংহতি তহবিল গঠিত হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন মানুষের অনুদানে পরিচালিত এই তহবিল থেকে খাবার এবং পরিচ্ছন্নতা উপকরণ প্রদান করা হবে এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দিনমজুর-শ্রমজীবী মানুষকে খাদ্য-উপহার প্রদান করবে।
অতিথিরা বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দিনমজুর-শ্রমজীবী মানুষের সংকট এড়াতে খাবার ও পরিচ্ছন্নতা সামগ্রীর নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের পাশাপাশি নিজেদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষার এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো কার্যকর প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, তাই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করে নিজের, পরিবার এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে দায়িত্বশীল হওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণের আহবান জানান।