নাঙ্গলকোটের হামলা ও মিথ্যা মামলায় হযরানীর অভিযোগ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জায়গা সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে হামলায় ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের টুয়া গ্রামের ভুক্তভোগী সোলায়মান সবুজ এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছে। এ ঘটনায় অভিযোগকারীর পক্ষের নারীসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে। গত ৭এপ্রিল বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে হামলা ও মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত মিজানুর রহমান অভিযোগকারীদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে রাখায় স্থানীয় শালিস দরবারের মাধ্যমে তা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মিজানুর রহমান হঠাৎ তাদের উপর মিথ্যা হামলার অভিযোগ করে ৯৯৯নাম্বারে ফোন দিয়ে পুলিশ এনে অভিযোগকারীদের মধ্যে আবদুল মালেক ও রমিজ উদ্দিনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তা সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মিজানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আবদুল মালেক ও রমিজ উদ্দিনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের বাঁচাতে এসে ফেরদৌসী বেগম স্বপ্না ও ভাই হিরণ গুরুতর আহত হয়। পরে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে মিজান ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে অভিযোগকারী সোলায়মান সবুজ এ ঘটনায় জড়িত ওই গ্রামের মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান, মোবারক হোসেন, কামাল হোসেন, আকিব, মোশারফ হোসেন, সামছল হক, রুমা আক্তার, রহিমা বেগম, জোবেদা আক্তার, নাছিসমা বেগম, রাবেয়া বেগম, নারগিস বেগম, হালিমা বেগমের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে সোলায়মান সবুজ আরো জানায় হামলাকারীরা বর্তমানে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি-দমকি দিয়ে হয়রানী করছে।
এদিকে একই গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, টুয়া বাজারে তার দুই শতক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন মিজানুর রহমান।