দেবিদ্বারে দুই পক্ষের ঝগড়ায় একজন জখম
কুমিল্লার দেবিদ্বারে সোমবার ইফতারের পর দুই পক্ষের ঝগড়ায় সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হাকিমকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
প্রথমে তাকে দেবিদ্বার সরকারি হাসপাতাল এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। তারা হলেন মো. নাছির উদ্দিন, মাইনুদ্দিন, মিজানুর রহমান। তারা বর্তমানে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে দেবিদ্বার থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন আহত হাকিমের ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন। মামলার আসামিরা হলেন মো. সবির মিয়া, ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মজিব সরকার, আবুল কালাম (ডিম ব্যবসায়ী), বাবুল হোসেন, মাজহারুল ইসলাম মনু, আবুল কালাম (টেইলার্স)সহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জন।
মামলার বিবরণ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বিকেলে পুকুরে মাছ চাষের শেয়ার ব্যবসা নিয়ে ইব্রাহীম ও মিজান নামে দুই জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় এলাকার ঝগড়া থামাতে ছুটে যান সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুল হাকিম।
তিনি দুই জনের মধ্যে ঝগড়া নিবৃত্ত করে দুইজনকে যার যার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে ইফতার শেষে ইব্রাহীম মিয়ার পক্ষে একই এলাকার সবুর হোসেনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ঘটনাস্থলে গিয়ে অতর্কিতভাবে মিজানুর রহমানের দোকান ভাঙচুর করেন। ঝগড়া ও ভাঙচুর থামাতে আবদুল হাকিম ছুটে এলে সবুর মিয়ার হাতে থাকা রাম’দা দিয়ে আবদুল হাকিমের মাথা কুপিয়ে ও বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। অপর একজন বাবুলের হাতে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় মাইনুদ্দিনকে। পরে আরো কয়েকজন থামাতে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল চৌধুরী জানান, মাছ চাষের শেয়ার ব্যবসার দ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে এক পক্ষের কোপে মারাত্মক আহত হন সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হাকিম। তিনি গত ২৪ বছর ধরে ইউপি সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু শয্যায় রয়েছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, আবদুল হাকিম আহত হওয়ার ঘটনায় তার ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ