হোমনায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাদ্য পৌঁছে দিলেন এমপি সেলিমা আহমাদ
কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষের অবস্থা দেখতে ও খাদ্যসহায়তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাদ্য পৌছেঁ দিলেন । তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে দেওয়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণের খোঁজখবর নিতে গত তিন দিন যাবত এলাকাবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে পুরো উপজেলা ঘুরে বেড়ালেন । মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার হোমানা পাথালিয়াকান্দি গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন । সঙ্গে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ,ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে দেয়া খাদ্য সহায়তা ঠিকভাবে পৌছেঁছে কিনা সেটি দেখা ছাড়াও এলাকার মানুষেকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি । কৃষকরা তাদের জমির ধান কাটতে সমস্যায় আছেন কিনা তা জানতে চান কৃষকদের কাছে, প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারছেন কিনা বা তাদের কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানতে চান তিনি। এসময় স্থানে স্থানে দাড়িয়ে তিনি দলের নেতাকর্মী এবং গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তাদের সামগ্রিক খোজঁখবর নেন। সেলিমা আহমাদ এমপি এর ব্যাক্তিগত অর্থায়নে তার নিবার্চনী এলাকায় ইতিমধ্যে ১৮ হাজার কর্মহীন ও অসচ্ছল পরিবারকে খাবার সামগ্রী ও রমজান উপলক্ষে ১৪ হাজার পরিবারকে ইফতার সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়েছেন সেলিমা আহমাদ । প্রতিদিন সংসদ সদস্যের বাড়ি থেকে বিভিন্ন গ্রামে গাড়িতে ভরে ত্রান পাঠানোর কাজও নিজে দাড়িয়ে তদারকি করেন তিনি। হটলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন খাদ্যসহায়তা পৌছে দেওয়া হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে। এই কাজটি করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাড. মো.নজরুল ইসলাম জানান-এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী আপা মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সবকয়টি গ্রামে গিয়েছেন খোজখবর নিয়েছেন এলাকার মানুষের, খাদ্য সাগ্রী বিতরন করেছেন,কৃষকদের জমির ধান কাটার ব্যবস্থা করছেন ।আপা ইতিমধ্যে প্রায় বিশ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা করেছেন।
সেলিমা আহমাদ এমপি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন হয়ে পরা প্রায় ২০ হাজার পরিবার কে খাদ্যসহায়তা ও ১৪ হাজার পরিবারকে ইফতার সামগ্রী উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে । এ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ও প্রবাসিরা বিভিন্ন গ্রামে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। হট লাইনে ফোন করে কেউ খাদ্য সহায়তা চাইলে পৌছে দেওয়া হচ্ছে এবং কোন কৃষক আমাদের কাছে সহায়তা চাইলে আমরা তাদের জমির ধান কেটে দিচ্ছি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে। ইতিপূর্বে আমরা যে ত্রান দিয়েছি সেটি সঠিকভাবে পৌছেছে কিনা, প্রকৃতপক্ষে মানুষের কল্যান হচ্ছে কিনা তা সরজমিনে দেখা এবং মানুষের সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে কথা বলার জন্যে নির্বাচনী এলাকার সব গ্রামে আমি গিয়েছি। মোট কথা হ্নদয়ের তাগিদ থেকেই ছুটে গেছি আমি এলাকার মানুষের কাছে।