লাকসামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৭ : থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
লাকসামে পাশাপাশি দু’টি গ্রামের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের লাকসাম সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় পক্ষ লাকসাম থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে, ৪ মে রাতে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে রাস্তার পাশে জুয়া খেলায় বাধা দিলে পার্শ্ববর্তী আমদুয়ার গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমানকে মারধর করে একই গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে সাইফুল ইসলাম, বদিউল আলমের ছেলে জুয়েল, আবুল কালামের ছেলে জুনায়েদ ও মকবুল আহমেদের ছেলে রাসেল। এ ঘটনার জের ধরে ৬ মে রাতে তাবাবিহ নামাজের পর দু’গ্রামের মাঝামাঝি দোকানে গেলে জাকির হোসেনের সাথে উল্লেখিতদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমদুয়ার গ্রামের সবুজ, মাইন উদ্দিন, রেদোয়ান, সুমন, মহিন, আবুল বশর, বদিউল আলমসহ ১০/১১ জন লোহার রড, লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে। এতে জাকির হোসেন, তার ছেলে জিল্লুর রহমান জুয়েল ও ভাতিজা আদর আহত হয়। পরবর্তীতে ওই দুস্কৃতকারীরা জাকির হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পুনরায় তাদেরকে মারধরসহ আলমারীর তালা ভেঙ্গে গরু বিক্রির নগদ ৩ লাখ টাকা লুটপাটসহ বাড়িঘর তছনছ করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় আহত জাকির হোসেন বাদী হলে ৭ মে লাকসাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অপর পক্ষের অভিযোগ, আমদুয়ার গ্রামের রাসেল, শাহাদাত ও জুয়েল অপরপক্ষের পুকুরে গোসল করা নিয়ে ক’দিন আগে ঝগড়া হয়। একে কেন্দ্র করে ৬ মে রাতে উভয় গ্রামের মাঝামাঝি নাঙ্গলকোট রাস্তার পাশে হেলাল ডাক্তারের দোকানের সামনে তাদেরকে পেয়ে জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন, জহির উদ্দিনসহ ১৫/১৬ জন লোহার রডসহ লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে আমদুয়ার গ্রামের মহিন উদ্দিনসহ ৪/৫ জন আহত হয়। পরে গুরুতর আহত মহিন উদ্দিনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মোকছেদ মিয়া সুমন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে শাহপুরের জুয়েল হোসেন, জামিল হোসেন, আদর আলী, ফারুক হোসেন, রাসেল হোসেন, স্বপন মিয়া, বালিয়াপুরের নয়ন হোসেন, রাশেদ হোসেনকেও আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ওসি মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।