কুমিল্লা কমলপুরের বাটিকের চাহিদা দেশজুড়ে
কুমিল্লার বাটিক। নজরকাড়া রং- নান্দনিক ডিজাইন। দেখতে সুন্দর, দামে সাশ্রয়ী। ব্যবহারে নিজস্ব ঐতিহ্যের পরশ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কমলপুর গ্রামে রয়েছে বাটিক কাপড়ের একাধিক কারখানা।
সরেজমিনে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একদল নারী-পুরুষ বাটিক কাপড় দিয়ে পরিধেয় বস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কাপড়ে নকশা দিচ্ছেন, কেউ রংমিশ্রিত পানিতে কাপড় ভিজিয়ে দিচ্ছেন। কেউ ভেজা কাপড়গুলো রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। আবার কয়েকজন পুরুষকে দেখা গেলো শুকনো কাপড় ভাঁজ করছেন। কারখানার অন্তত ৪০ জন নারী পুরুষ পর্যায়ক্রমে কাজগুলো করছেন।
সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে কুমিল্লা কমলপুর গ্রামে বাটিক কাপড়ে রং দিয়ে নকশা করা হয়। তারপর বানানো হয় লুঙ্গি, থ্রিপিস, শার্ট ও বেডশিট। কমলপুরে তৈরি করা পোষাকগুলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
কমলপুরের বাসিন্দা ও বাটিক কারখানা কুমিল্লা ডাইংয়ের ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম জানান, কুমিল্লা ডাইংয়ের মালিক হেদায়াতুল ইসলাম। কমলপুরে ৭-৮ টি বাটিক কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে কুমিল্লা ডাইং অন্যতম। তার কারখানায় ৪০ জন নারী পুরুষ কাজ করেন। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা বেতন পান কর্মরত নারী পুরুষরা।
সূত্র জানায়, এখানে রং ও ডিজাইন করা হয়। পরে চাহিদা অনুযায়ী লুঙ্গি থ্রি পিচ, শার্ট ও বেডশিট তৈরি করা হয়। কুমিল্লা কমলপুরের বাটিক কারখানাগুলো সপ্তাহে দুই থেকে আড়াই হাজার পিস লুঙ্গি-থ্রিপিচ, শার্ট ও বেডশিট তৈরি করতে পারেন।
বাটিক কারখানার একাধিক মালিক জানান, বাটিক কুমিল্লা তথা সারা দেশের ঐতিহ্যের নির্দশন। আকর্ষণীয় ডিজাইন, দামে সাশ্রয়ী পরতেও আরাম বলে দেশে বিদেশে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। তবে দেশে প্রচার- প্রসারসহ বাটিকের অস্তিত্ব রক্ষায় সরকারি সহযোগিতা পেলে শিল্পটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো।