কুমিল্লা-সালদা নদী সড়কের বেহাল দশা, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচঢালাই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও এসব গর্ত গভীর হয়ে ডোবার মতো হয়ে আছে। এতে উঁচু-নিচু হয়ে আছে সড়ক। এর ওপর দিয়ে গাড়িতে চলাচলের সময় ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায় যাত্রীদের। এসব গর্তে পড়ে অনেকে হন আহত। এ দুরবস্থা কুমিল্লা-সালদা নদী সড়কের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে এ সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সড়ক দিয়েই কুমিল্লা থেকে কসবা হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাতায়াত করেন যাত্রীরা। ভারতীয় সীমান্তের একেবারেই কাছে এ সড়কের অবস্থান। দীর্ঘ দিন যথাযথভাবে সংস্কার না করায় সড়কটি বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো বাস, ট্রাক, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে। সড়কটি সংস্কার করা হলে এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগব হবে।
সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায় নয় কিলোমিটার, বুড়িচং উপজেলায় ১১ কিলোমিটার এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ছয় কিলোমিটার পড়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অংশের সড়ক খুবই খারাপ।
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার গোমতী নদীর চানপুর স্টিলের সেতু থেকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সালদা নদী রেল সেতু পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের শতাধিক স্থানে বড় গর্ত দেখা গেছে।
কুমিল্লা-সালদা নদী সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, “রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে ভাড়াও বাড়ছে। জান বাজি রেখে গাড়ি চালাচ্ছি।”
এ সড়কের পাশেই অবস্থিত শশীদল আলহাজ মুহাম্মদ আবু তাহের কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম বলেন, “ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করি। গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে পার হতে বেগ পেতে হচ্ছে।”
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ জানান, “কুমিল্লার চাঁনপুর থেকে সালদা নদী পর্যন্ত সড়কটি পূর্নাঙ্গ সংস্কারের জন্য এলজিইডি থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এই পথে গোমতী নদীর উপর একটি নতুন সেতুও নির্মান করা হবে বলে জানান তিনি।”