কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা, স্বামী আটক
কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। দেবিদ্বার উপজেলার বারুর গ্রামের শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে এবং ওই রাতেই অভিযুক্ত মোঃ ফারুককে আটক করে পুলিশ। রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার বারুর গ্রামের আলী হোসেন মাস্টার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ফারুক (৩০) এর সাথে প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার পৌরসভার বারেরা গ্রামের আমানতের বাড়ির আবুল হাসেমের মেয়ে ফারহানা আক্তারের (২২)।
বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো ফারুক। এনিয়ে পারিবারিক দ্বন্ধ হলে ফারহানা বাবার বাড়ী চলে আসেন। ২৪ অক্টোবর শনিবার সামাজিক ভাবে তা মিটিয়ে ফারুক তার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
বাড়িতে নিয়ে যাবার কয়েক ঘন্টা পরেই দুজনের মাঝে আবারো তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে ফারুক তার স্ত্রী ফারহানাকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ফারহানার চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার কর দেবিদ্বার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে ফারহানার বড় ভাই মেহেদী হাসান জানান, আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে আমার বোনটির বিয়ে হয় ফারুকের সাথে, বোনের সুখের জন্য বিয়ের পর তাকে নানা ভাবেই আর্থিক সহায়তা করে আসছি। কিন্ত সে একজন মাদকাসক্ত। আমার বোনকে মারধর করে। তাই কিছুদিন আগে সে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। আজ কয়েকজনের মধ্যস্থতায় ফারুক নিজ তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এর কয়েক ঘন্টা পরই আমার বোনকে জবাই করে হত্যার চেষ্টার খবর পাই।
এব্যাপার ফারহানার ভাই মেহদী হাসান বাদী হয়ে শনিবার রাতেই দেবিদ্বার থানায় অভিযুক্ত ফারুক হোসেন, শ্বশুর নুরুল আমীন এবং শাশুড়ী দেলোয়ারা বেগমকে আসামী করে একটি মাামলা করা হয়।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আনোয়ার বলেন, ওই রাতেই অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়ে অভিযান চালাই এবং প্রধান অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেপ্তার করি। আজ রোববার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।