কুমিল্লায় জামাই-শ্বশুর ও দুই বেয়াইনের লড়াই
কুমিল্লার হোমনা পৌরসভা নির্বাচনে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। এ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী থাকলেও সবার নজর এখন পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে জামাই-শ্বশুর এবং ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত পদে দুই বেয়াইনের ভোটের লড়াই পৌরবাসীর বিনোদনের খোড়াক যোগাচ্ছে। পৌরসভার সর্বত্রই চলছে ৩ নং ওয়ার্ডে জামাই শ্বশুর ও দুই বেয়াইনের ভোটের লড়াই নিয়ে আলোচনা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. রাজ মিয়া নিজের শেষ নির্বাচন বলে ঘোষণা দিলেও মন গলেনি মেয়ের জামাই কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সামাদের। গত বছরও শ্বশুরকে ছাড় দেননি জামাই। কিন্তু জামাইকে হারিয়ে শ্বশুর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবারও নির্বাচন করছেন জামাই ও শ্বশুর। শেষ পর্যন্ত দুজনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চষে বেড়াচ্ছেন ওয়ার্ডের অলিগলি। শ্বশুরের প্রতীক উটপাখি ও জামাইয়ের প্রতীক গাজর।
এদিকে শ্বশুর-জামাইয়ের সমর্থকদের ম্ধ্য টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে ভোটারসহ উভয় পরিবারের লোকজন পড়েছেন বিভ্রান্তিতে। তবে এলাকাবাসীর ধারণা, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাঞ্জাবী প্রতীক নিয়ে মো. সফিকুল ইসলাম সবু বা সাবেক কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন সরকার পানির বোতল প্রতীকে চমক দেখাতে পারেন।
এবার নির্বাচনে ভোটের মাঠের রয়েছে জটিল সমীকরণ। তবে শ্বশুর-জামাইয়ের সব সমীকরণ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি জনগণ ইভিএম ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ দেবেন।
অপরদিকে ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (৭,৮,৯) দুই বেয়াইনের মধ্যে চশমা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন রুশিয়া বেগম ও জবা ফুল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফাতেমা বেগম।
জানা গেছে রুশিয়া বেগমের ছেলের সঙ্গে ফাতেমা বেগমের মেয়ের বিয়ে হয়েছিল এক বছর আগে। যদিও এদের মধ্যে এ আত্মীয়তা এখন নেই। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করতে হয়েছে। সেই জিদ থেকে নির্বাচনে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ফাতেমা বেগমের মনোনয়নপত্র বাতিল হলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন রুশিয়া বেগম। পরবর্তীতে ফাতেমা বেগম হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান। এখন চলছে দুই বেয়াইনের লড়াই।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে হোমনা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হোমনা ২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিবেন জামাই ও শ্বশুর আর ৯নং ওয়ার্ডের গোয়ারীভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিবেন দুই বেয়াইন রুশিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগম। এ ওয়ার্ডে অপর প্রার্থীরা হলেন সুরিয়া বেগম (কলম), ফাতেমা বেগম (আনারস)।